দেশের বাজারে আবারো স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে তিন হাজার ৪৫২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দু’ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে দু’ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি দু’ লাখ পাঁচ হাজার ৮০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরো জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সাথে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত পাঁচ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ছয় শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১১ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে এক হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দু’ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি দু’ লাখ দু’ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ১২ ডিসেম্বর থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৮৫ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৮ বার, আর কমেছে মাত্র ২৭ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সাথে এবার বাড়ানো রয়েছে রুপার দামও। ভরিতে ৩২৬ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে চার হাজার ৫৭২ টাকা।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি চার হাজার ৩৬২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি তিন হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে দু’ হাজার ৭৯৯ টাকা।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১০ বার সমন্বয় করা হয়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে সাতবার, আর কমেছে মাত্র তিনবার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল তিনবার।



