স্বর্ণের বড় দরপতন, ভরিতে কমলো ১০ হাজার টাকা

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) স্বর্ণের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

এবার স্বর্ণের আরো বড় দরপতন। একলাফে ভরিপ্রতি (২২ ক্যারেট) কমেছে ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হবে এক লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকায়। বুধবার থেকে সারা দেশে স্বর্ণের নতুন এ দর কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দরপতনের এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) স্বর্ণের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম কমে এক লাখ ৮৫ হাজার ৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৫৮ হাজার ৫৭২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৩১ হাজার ৬২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের রুপার ভরি ৪ হাজার ২৪৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি তিন হাজার ৪৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, সবশেষ গত ২৭ অক্টোবর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ৩ হাজার ৬৭৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৪৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ২৮ অক্টোবর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৭০ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৮ বার, আর কমেছে মাত্র ২২ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।