অ্যাফোর্ডেবল স্মল স্পার্কলিং প্যাকেজের (এএসএসপি) ২৫০ মি.লি. বোতলে কোক জিরো ও স্প্রাইট জিরো বাজারে এনেছে কোকা-কোলা। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি একই এএসএসপি প্যাকেজে ২৫০ মি.লি. কোকা-কোলা, স্প্রাইট ও ফান্টা বাজারে এনেছিল। এ সকল এএসএসপি বোতলগুলো প্রস্তুত করেছে কোকা-কোলার বোতলজাতকারী প্রতিষ্ঠান কোকা কোলা আইসেক (সিসিআই)। কোক জিরো ও স্প্রাইট জিরোর এই নতুন বোতলগুলো এখন দেশব্যাপী পাওয়া যাচ্ছে।
ক্যালরি ফ্রি এই প্রিমিয়াম পানীয়গুলো ভোক্তাদের সাধ্যের মধ্যে রাখতে বিশেষ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ টাকা। সবুজ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে কোকা-কোলা বাংলাদেশের চলমান যাত্রায় এএসএসপি বোতলের এই সম্প্রসারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এএসএসপি বেভারেজ শিল্পে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। বর্তমান সময়ের মূল্য সচেতন ও দায়িত্বশীল ভোক্তাদের পরিবর্তিত রুচি ও চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এই বিশেষ প্যাকেজিং নিয়ে আসা হয়েছে। ছোট আকারের এই বোতল পণ্যের সর্বোচ্চ গুণগত মান ও স্বাদ বজায় রেখে ভোক্তাদের সাশ্রয়ী মূল্যে পছন্দের পানীয় উপভোগের সুযোগ দেয়। কোকা-কোলার হাত ধরে ২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রথম চালু হওয়ার পর, কোকা-কোলা, স্প্রাইট ও ফান্টার ২৫০ মি.লি. ও ৪০০ মি.লি. এর বোতলেও এএসএসপি প্যাকেজিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
কোকা-কোলা আইসেকের (সিসিআই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাদাব বলেন, বাংলাদেশের সকল ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের পণ্যগুলো তাদের কাছে সহজলভ্য করতে কোকা-কোলা আইসেক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোক জিরো ও স্প্রাইট জিরো এখন ২৫০ মি.লি. এএসএসপি ফরম্যাটে পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এর ফলে আরো বেশি মানুষ সুবিধাজনক আকারে, সাশ্রয়ী মূল্যে ও পরিবেশবান্ধব বোতলে তাদের পছন্দের পানীয় উপভোগ করতে পারবেন। কোকা-কোলা বাংলাদেশের সাথে একত্রে কাজ করে দেশের বিভিন্ন দোকান, ই-অ্যান্ড-ডি আউটলেট ও অন্যান্য বিক্রয়কেন্দ্রে এই নতুন বিকল্পগুলো পৌঁছে দিতে পেরে আমরা গর্বিত।
এএসএসপি প্রযুক্তির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- এতে খুব অল্প পরিমাণ প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। ফলে এটি পরিবেশবান্ধব। উন্নত প্যাকেজিং প্রযুক্তি পানীয়ের চিরাচরিত স্বাদ ও সতেজতা দীর্ঘ সময় ধরে অটুট রাখে। আধুনিক জীবনযাপনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রস্তুত করা এই বোতল হালকা, সহজে বহন ও ব্যবহার করা যায়। পাশাপাশি ১৫ টাকার প্রমোশনাল মূল্য বড় সংখ্যায় ভোক্তাদের আকর্ষণ করবে ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ করবে।
কোক জিরো ও স্প্রাইট জিরো এএসএসপি ফরম্যাটে এখন দেশজুড়ে বিভিন্ন মুদি দোকান ও স্থানীয় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।