২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়কালে ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালের একই সময়ে রফতানির পরিমাণ ছিল ৪.৬৩ বিলিয়ন ডলার যা ৫.৯৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
ইইউ পোশাক আমদানির সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ মাসে দেশের তৈরি পোশাক রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯.০৬ শতাংশ। এছাড়াও, ইউনিট মূল্য ৩.৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়কালে, ইইউ পোশাক আমদানিতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে যা ১৬.৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে মোট ২৪.৬৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই বৃদ্ধির সাথে সাথে পণ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে ২০.২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গড় ইউনিটের দাম ২.৮৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিজিএমইএ-এর সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বাসসের সাথে আলাপকালে বলেন, মার্কিন বাজারে উত্তেজনার কারণে ইইউর প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়েও বেশি হলেও, ভবিষ্যতে চীনা ব্যবসায়ীরা ইউরোপে তাদের বাজার উপস্থিতি সম্প্রসারণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘২০২৫ সাল জুড়ে প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখার জন্য কাজের অর্ডার বৃদ্ধির প্রত্যাশিত বৃদ্ধির মধ্যেও বাংলাদেশের জন্য ইইউ বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তুলনামূলকভাবে চীন, ভারত, পাকিস্তান এবং কম্বোডিয়াও ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ মাসে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
ইইউতে চীনের পোশাক রফতানি ৬.৬৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২৪ সালের একই সময়ের ৫.৩৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বেশি।
তবে, ইইউতে তুরস্কের পোশাক আমদানি ৪.১৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ মাসে মোট ২.৩৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যেখানে ভিয়েতনামের রফতানি ১৮.০৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১.১৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
ভারত, পাকিস্তান এবং কম্বোডিয়া ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে ইইউ পোশাক বাজার থেকে যথাক্রমে ১.৪৪ বিলিয়ন ডলার, ১.০৮ বিলিয়ন ডলার এবং ১.১৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
সূত্র : বাসস