ঢাকায় শুরু হলো দ্বিতীয় বিআরআই প্রদর্শনী

শুক্রবার ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের আয়োজনে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

নিজস্ব প্রতিবেদক
শুরু হলো দ্বিতীয় বিআরআই প্রদর্শনী
শুরু হলো দ্বিতীয় বিআরআই প্রদর্শনী |নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরো জোরদার করতে রাজধানীতে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ এক্সিবিশন ২০২৫’।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের আয়োজনে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

এ সময় বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: সবুর হোসেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ ও বাংলাদেশে চীনা এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশনের (সিইএবি) সভাপতি হান কুন উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বাংলাদেশের সড়ক নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা এখন প্রায় গণহত্যার রূপ নিয়েছে। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। নিম্নমানের বাণিজ্যিক যানবাহনের কারণে জনগণ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।’

এ সমস্যা সমাধানে তিনি চীনের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি প্রস্তাব করেন, চীনা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে এসে মানসম্পন্ন যানবাহন উৎপাদন করলে সড়ক খাতের উন্নয়ন সম্ভব। একইসাথে তিনি বাংলাদেশের অর্ধ-ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিকে দ্রুত এক ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিবছর চীন থেকে ২২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে, অথচ রফতানি অনেক কম। মাননীয় রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন রফতানি বৈচিত্র্য আনতে উদ্যোগ নিয়েছেন, তবে আরো পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।’

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম, যারা বিআরআই’তে সাড়া দিয়েছে। গত এক বছরে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ ২৫৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে। চীন বাণিজ্য ও বিনিয়োগে আরো সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।’

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: সবুর হোসেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে চীনা বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ বলেন, ‘বাংলাদেশ বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য ‘

এবারের প্রদর্শনীতে ৪০টি প্রতিষ্ঠানের ৮০টি বুথ অংশ নিয়েছে। যার মধ্যে ৩২টি প্রতিষ্ঠান চীনের। প্রদর্শনীতে অবকাঠামো, প্রযুক্তি, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবহন, লজিস্টিকস ও উৎপাদন খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য ও সেবা উপস্থাপন করছে। পাশাপাশি থাকছে উচ্চপর্যায়ের বিটুবি ও জিটুবি মিটিং, সেমিনার ও বিনিয়োগবিষয়ক সেশন।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এ প্রদর্শনী।