ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস পেরেস বলেছেন, ব্রাজিলের বিভিন্ন কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। বিশেষ করে গোশত প্রক্রিয়াজাতকরণ কোম্পানি বাংলাদেশে মিট প্রসেসিং কারখানা স্থাপন করতে চায়।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০ নিয়ে সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম, বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাথে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো বলেন, ‘ব্রাজিল স্বল্পমূল্যে বাংলাদেশে প্রাণীজ আমিষ বিশেষকরে গরুর গোশত রফতানি করতে চায়। এ ব্যাপারে আলোচনা অনেকদূর এগোলেও গত সরকারের পতনের পর প্রক্রিয়াটি থেমে আছে। তবে বাংলাদেশ সরকার ব্রাজিলের গোশতের হালাল সার্টিফিকেট তাড়াতাড়ি দিলে রফতানি প্রক্রিয়া দ্রুততর হবে বলে আশা পাওলো ফার্নান্দোর।
একইসাথে বাংলাদেশ থেকে তার দেশ চামড়া ও জুতা আমদানি আরো বাড়াতে চায়, জানান রাষ্ট্রদূত।
আগামী অক্টোবরে ঢাকায় বাংলাদেশ-ব্রাজিল তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশনে বাণিজ্য বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ফুটবলে উন্নয়নে ব্রাজিল সহোগিতা করতে প্রস্তুত।
এর আগে সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিসট ফোরাম, বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নেতৃবৃন্দকে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০-এর নানা দিক তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফার্নান্দো দিয়াস পেরেস।
উল্লেখ্য, এবারের কপ-৩০ সম্মেলন আগামী নভেম্বরে ব্রাজিলের বেলেমে অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রদূত ফার্নান্দো বলেন, ‘বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ধনী দেশগুলো দায়ী হলেও জলবায়ু তহবিলে তারা প্রতিশ্রুত অর্থ অসহায়তা দিতে চায় না। তবে এ কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি থেকে বিশ্বকে রক্ষায় বসে থাকা যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
মতবিনিময় সভায় ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের (সাকজেএফ) নির্বাহী সভাপতি আসাদুজ্জামান সম্রাট, সাধারণ সম্পাদক কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, সাকজেএফ বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি মাছুম বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন ইলিয়াস, সহ-সভাপতি ইমরুল কায়েস, সদস্য মিনাক্ষী দত্ত, ইমরান হোসেন ও মিথুন সরকার উপস্থিত ছিলেন।