জাপান থেকে আগত অভিজ্ঞ ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষক, জাপানি ভাষা শিক্ষক ও জাপান থেকে সংগৃহীত প্রশিক্ষণ-উপকরণের মাধ্যমে ঢাকায় হয়েছে হাতে-কলমে নিবিড় প্রশিক্ষণ।
হাইটেক করপোরেশন এলএলসি (জাপান) ও হার্টফুল লিমিটেডের (বাংলাদেশ) যৌথ আয়োজনে ট্রাস্ট টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় তিন মাসব্যাপী উচ্চমানের এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে সাভারে অবস্থিত টিটিটিআইয়ের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।
জাপানে উন্নতমানের চাকরিপ্রত্যাশী যুবকদের জন্য বিশেষভাবে সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে গৃহীত দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথম ব্যাচের নিবন্ধনকৃত প্রায় ১০০ প্রশিক্ষণার্থী এ প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন।
হাইটেক করপোরেশন এলএলসির (জাপান) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোমোহিরো ইয়োশিদা ও ট্রাস্ট টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
জাপান থেকে আগত বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকদের মধ্যে জাপানি ভাষা প্রশিক্ষক, ইয়ামাগুচি হিরমি, জাপানিজ স্ক্যাফলডিং প্রশিক্ষক, সাকুতা মাসাকি, হাইপারলিঙ্ক স্কিলস বিজনেস কো-অপারেটিভ অ্যাসোসিয়েশন, জাপানের পরিচালক, লুও গুই ঝেন এবং ট্রাস্ট টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওমর ফারুক এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
তোমোহিরো ইয়োশিদা তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রচুর তরুণ জনগোষ্ঠী রয়েছে যাদের ইচ্ছাশক্তি অদম্য ও সম্ভাবনা অপরিসীম, কিন্তু জাপানি মান অনুযায়ী প্রশিক্ষণের সুযোগ সীমিত হওয়ায় জাপানে তাদের উন্নত কর্মসংস্থানের তেমন সুযোগ হয়নি, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতেই আমরা হাই-টেক করপোরেশন জাপান, ট্রাস্ট টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সাথে যৌথভাবে প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছি।’
জাপানে বাংলাদেশের কর্মসংস্থানের সুযোগ, সমস্যা ও সম্ভাবনাসহ নানান দিক তুলে ধরে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন হার্টফুল লিমিটেড (বাংলাদেশ)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মুরাদ হাসান জেনিথ।
তিনি বলেন, জাপানের নির্মাণশিল্পে তীব্র শ্রমিকসংকট মোকাবেলা এবং বাংলাদেশী তরুণদের জন্য আরো ভালো ক্যারিয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা এ প্রশিক্ষণের অন্যতম লক্ষ্য।
বক্তারা আরো বলেন, এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো জাপানের নির্মাণশিল্পে শ্রমিক সংকট সমাধানের পাশাপাশি বাংলাদেশী তরুণদের জন্য ভবিষ্যৎ গড়ার নতুন পথ উন্মোচন করা। এই প্রকল্পটি উভয় দেশের জন্য একটি বিশাল সুযোগ।