‘এবার সাহাবউদ্দিন ভাইকে নমিনেশন দিলে ঢাকার ১২ আসন বিএনপির ঘরে উঠবে’

‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অসংখ্য হামলা-মামলায় জর্জরিত বিএনপির নির্যাতিত নেতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন ভাইকে এবারের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার ১২ আসন থেকে নমিনেশন প্রদান করা হলে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবেন-এটা আমাদের সবার বিশ্বাস।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন |নয়া দিগন্ত

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অসংখ্য হামলা-মামলায় জর্জরিত বিএনপির নির্যাতিত নেতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন ভাইকে এবারের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার ১২ আসন থেকে নমিনেশন প্রদান করা হলে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবেন-এটা আমাদের সবার বিশ্বাস।

শুধু তাই নয়, তার নির্বাচনে দাঁড়ানোর নমিনেশন পাওয়ার সংবাদ পেলে এই এলাকার অধিকাংশ মুরব্বী থেকে তরুণ, সবাই অনেক খুশিও হবেন। তাদের অনেকে নামাজ পড়ে দোয়া করছেন- কখন তারা শুভ সংবাদ পাবেন। কারণ সাহাবউদ্দিন ভাই আমাদের একজন পরীক্ষিত নেতা। তিনি এলাকার মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ। আমরা চাই ২০০৮ সালের নির্বাচনের মতো তিনি এবারো রমনা-তেজগাঁও আসন থেকে নমিনেশন পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। আমরা আশাবাদী, তিনি নির্বাচন করলে বিপুল ভোটে পাশ করবেন এবং এই আসনটি দেশনেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উপহার দিতে পারবেন।

Sahabuddin 3

গতকাল (শনিবার) তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিত্ব মো: আমির হোসেন এর সাথে ঢাকা-১২ আসনে আলহাজ্ব মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন এর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির টিকিটে নমিনেশন পাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি এলাকার মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও অভিব্যক্তির কথা এভাবেই অকপটে বলে ফেলেন।

দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক দল বিএনপির আপসহীন নেত্রী ও দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একনিষ্ঠ সৈনিক এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভক্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ অর্থ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এবং সাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন আসন্ন ঢাকা-১২ আসনের নির্বাচনে বিএনপির হয়ে যোগ্য নেতৃত্ব দিতে এলাকার সব বয়সী ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেছেন। আগেও তিনি এলাকার মানুষের পাশেই থেকেছেন এবং বিপদ আপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন।

এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে দেয়ালে দেয়ালে সাহাবউদ্দিনের পোস্টার সাঁটানো। এবারের স্লোগান হচ্ছে, ‘তারুণ্যর প্রথম ভোট, ধানের শীষের পক্ষে হউক’।

তিনি ভোটারদের সান্নিধ্য পেতে তার নির্বাচনী এলাকা রমনা ও তেজগাঁও মিলিয়ে (ঢাকা-১২ আসন) ছয়টি ওয়ার্ডে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছেন। এলাকাবাসীও তার জন্য এলাকায় গণসংযোগ চালাচ্ছেন। তিনি যাতে নমিনেশন পান এর জন্য অনেকে দোয়াও করছেন। তারা আশাবাদী ২০০৮ সালের মতো এবারো সাহাবউদ্দিন ভাইকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে নমিনেশন দেবেন এবং এই গুরুত্বপূর্ণ আসনটি সাহাবউদ্দিন ভাই তার দলকে উপহার দিবেন। কারণ তার দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এলাকায় জনপ্রিয়তার দিক থেকে এই মুহূর্তে তিনি এগিয়ে রয়েছেন। তার বিপরীতে বিএনপির এ আসনে কোনো যোগ্য ও বিকল্প প্রার্থী নেই।

আগে আওয়ামী লীগের দোসর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কারণে তার এবং তার পরিবারের ওপর চলেছিল অসংখ্য অত্যাচার, নিজ প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর, আর সন্তানকে কিডন্যাপ করার মতো ঘটনা। দেয়া হয়েছিল একের পর এক মামলাও। এখনো এসব মামলার হাজিরা দিতে হচ্ছে আদালতে। বর্তমানে তার দলের যারা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার তালিকায় রয়েছেন তাদের নিয়ে এলাকায় নেতিবাচক প্রচারণা রয়েছে বলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্টদের খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ।

৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল কাশেম আসন্ন নির্বাচনে আলহাজ্ব সাহাবউদ্দিন এর নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, এলাকার মানুষ তো আপনার পক্ষেই আছে।

Sahabuddin 2

আমির নামে অপর একজন এলাকাবাসী বলেন, আপনে এবার বিএনপির পক্ষে নমিনেশন পাওয়ার সংবাদ পেলে এলাকার মানুষ খুশি হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষ আপনার পোস্টার লাগানো দেখে বলছে, আলহামদুলিল্লাহ। তারা আপনার জন্য হাত তুলে দোয়া করছেন। তারা আপনাকেই চান। রমনা, তেজগাঁও ও শেরেবাংলা এলাকার ভোটার সংখ্যা চার লাখের মতো। ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই আসনটি।

২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে আলহাজ্ব মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন ভোট পেয়েছিলেন ৭৩,৮৭০। অর্থাৎ ৩৫.১ শতাংশ। আওয়ামী লীগের অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্যেও সাহাবউদ্দিন ভোটারদের সুখে দুঃখে পাশে ছিলেন। এবার তার ভোট ব্যাংক আরো বেড়েছে বলে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করছেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালীর কৃতী সন্তান সাহাবউদ্দিন বলেন, ‘আমি ছাত্র জীবন থেকেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের একজন সৈনিক হিসাবে নিজেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার শপথ করেছি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের অবৈধ নির্বাচনে সুকৌশলে বিএনপির কোনো প্রার্থীকে ভোটে পাশ করতে দেয়নি। সেই নির্বাচনেও আমি প্রায় ৭৪ হাজার ভোট পেয়েছি। আমি আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের নিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছি। দলের প্রতি আমার আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের ফলে আমাকে ঢাকা মহানগরের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব প্রদান করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব দেয়া হয়। আমি ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছি। পরবর্তী কাউন্সিলে আমাকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-অর্থসম্পাদক ও ঢাকা মহানগর (উত্তর) বিএনপির সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। আমি আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি।

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর আমার নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রতিটি ওয়ার্ডে মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করি। ওই অনুষ্ঠানে দরিদ্র ও গরিব মানুষের মাঝে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি আমার প্রতিষ্ঠিত সাহাব উদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাধ্যমে আমার নির্বাচনী এলাকায় ফ্রি-মেডিক্যাল ক্যাম্প করে দুস্থ রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপির যে সকল নেতাকর্মী আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের হামলার শিকারে আহত হয়ে আমার হাসপাতালে ভর্তি হন তাদেরও বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করি যা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। সে বিষয়ে মাননীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব অবগত আছেন। আমি বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন, হামলা, মামলার শিকার। আমার প্রতিষ্ঠান সাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালও এর থেকে রক্ষা পায়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের ঘটনায় শত শত আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা আমার প্রতিষ্ঠিত সাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই দিয়েছি। তাছাড়া জুলাই বিপ্লবে আমার প্রতিষ্ঠিত মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।’ বিজ্ঞপ্তি