জিগজ্যাগ ইটভাটায় অভিযান বন্ধের দাবি মালিক সমিতির

দেশের ইটভাটা শিল্পে ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মরত। অর্থাৎ ২ কোটি মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয় এ খাতে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান |নয়া দিগন্ত

সরকার অনুমোদিত জিগজ্যাগ ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বন্ধসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি।

রোববার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগরে একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, দেশের ইটভাটা শিল্পে ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মরত। অর্থাৎ ২ কোটি মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয় এ খাতে। অথচ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ড্রাম ও ফিক্সড চিমনিযুক্ত ইটভাটার পরিবর্তে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বৈধ জিগজ্যাগ ইটভাটায় পরিচালনা করে মালিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে জিগজ্যাগ ইটভাটায় অভিযান বন্ধ না হলে দেশ অচল করার হুশিয়ারি দেন।

তিনি সরকারের কাছে ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো লোকালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৪০০ মিটার ও বনভূমি থেকে ৭০০ মিটার দূরত্বে স্থাপিত ইটভাটার ছাড়পত্র দেয়া, ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের নামে জিগজ্যাগ ইটভাটায় ভাঙচুর-হয়রানি বন্ধ, কোনো ইটভাটা বন্ধ করতে হলে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ দেয়া, পরিবেশগত ছাড়পত্রসহ সব ধরনের লাইসেন্স ইস্যু বা নবায়নের সময় কেন্দ্রীয় ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়ন পত্র বাধ্যতামূলক করা, ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেয়ার দাবি এবং ইটভাটা পরিচালনায় দীর্ঘ মেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চগড় ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি সফিউল্লাহ সুফি, শেরপুর ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহসহ ৫৫টি জেলার ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।