খেলাপী ঋণ কমানোসহ নানা পদক্ষেপে বদলে যাচ্ছে রাকাব

খেলাপী ঋণ কমানোর উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপসমূহ হচ্ছে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাথে মিট দ্যা বরোয়ার সভা, শাখাসমূহে খেলাপী ঋণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা প্রদান এবং খেলাপী ঋণ কমানো বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসরণ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

খেলাপী ঋণ কমিয়ে, আমানত বৃদ্ধির মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বদলে যাচ্ছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। আর সামনে থেকে ব্যাংকটিকে এগিয়ে নিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান এমডি ওয়াহিদা বেগম।

পরিচালনা পর্ষদের সুদক্ষ নির্দেশনায়, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সৎ নেতৃত্বে রাকাবের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইতিমধ্যে বিভিন্ন সূচকে সাফল্য দেখিয়েছেন তিনি। তার যোগদান পরবর্তী সময় থেকে রাকাবের খেলাপী ঋণ কমানোর চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিআরপিডি সার্কুলার ১৫ আসার পর শ্রেণীকৃত ঋণ যেখানে বৃদ্ধি পেয়ে ২০৭০ কোটি টাকা হওয়ার কথা ছিল, সেখানে ৭৪৮ কোটি টাকা খেলাপী ঋণ কমিয়ে বর্তমান বৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১২৯২ কোটি টাকা। খেলাপী ঋণ আরো কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং বছর শেষে আরো কমবে বলে জানান তিনি।

খেলাপী ঋণ কমানোর উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপসমূহ হচ্ছে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাথে মিট দ্যা বরোয়ার সভা, শাখাসমূহে খেলাপী ঋণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা প্রদান এবং খেলাপী ঋণ কমানো বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসরণ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

সরকারের এই বিশেষায়িত ব্যাংকে ওয়াহিদা বেগম নিয়োগ পাওয়ার পর আমানত বৃদ্ধি পেয়ে ২০.১১.২০২৫ ভিত্তিক তারিখ পর্যন্ত আমানত স্থিতির পরিমাণ হয়েছে ৭৩০২ কোটি টাকা। আমানত তথ্যচিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ৬৫০ কোটি টাকা ঢাকা কর্পোরেট অফিস থেকে হ্রাস পাওয়ার পরও আমানত ৪৫০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে গৃহীত ঋণের আসল ও সুদ হিসাবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধও করা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কৃষি, উৎপাদনশীল এবং সুবিধাবঞ্চিত খাতগুলোর উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা ব্যাংকটির এমডি ওয়াহিদা বেগম সঠিক ভাবে প্রকৃত কৃষক এবং প্রান্তিক মানুষদের ঋণ প্রদানের জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

গত জুলাই থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত তথ্যে দেখা যায়, ১৬২৩ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ, সিএমএসএমই এবং অন্যান্য খাতে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। জুন ২০২৬ পর্যন্ত এ সমস্ত খাতে আরো ৩০০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা সঠিক এবং সফলভাবে বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট জোনাল ব্যবস্থাপকদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ওয়াহিদা বেগম যোগদানের পর থেকে অসততা, দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ব্যাংকের কাজে গতি আনয়ন, প্রত্যেক কর্মকর্তাকে দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে তিন বছর এবং তদুর্ধ্ব সময়ে একই স্থানে কর্মরত কর্মকর্তাকে অন্য কর্মস্থলে বদলি করেছেন। বিজ্ঞপ্তি