ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত যে আদেশ জারি করেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপরে সেটি বড় কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলে জানাচ্ছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।
‘ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের সিদ্ধান্তটা বেশ অপ্রত্যাশিতই বলা চলে। তবে আমরা এই সুবিধাটা খুব যে বেশি ব্যবহার করতাম তা না। ফলে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধের ফলে আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না,’ বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা 'সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ও অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটানে কিছু পণ্য রফতানি করতো বাংলাদেশ। সম্প্রতি বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে প্রায় তিন হাজার টন আলু রফতানি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এর বাইরে, ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে ইউরোপ-আমেরিকায় তৈরি পোশাকের পাঠানো হতো।
‘গার্মেন্টসের যারা রফতানিকারক আছেন, অনেক সময় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্রেতা দেশগুলোর কাছে পণ্য পাঠানোর জন্য তারা ভারতীয় বিমানবন্দর ব্যবহার করতেন। এখন তারা সেটা পারবেন না। ফলে বাংলাদেশ থেকেই পণ্য পাঠাতে হবে,’ বলেন তিনি।
এদিকে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকখাতের একজন রফতানিকারক বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, ভারতের ভূখণ্ড বিমানবন্দর ব্যবহার করে গার্মেন্টস পণ্যের ‘সামান্য কিছু অংশ’ পাশ্চাত্য দেশগুলোতে যায়।
ফলে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের কারণে খাতটিতে সেভাবে প্রভাব পড়বে না।
ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে ঠিক কী পরিমাণ পণ্য অন্য দেশে রফতানি করা হয়, সেটার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য ব্যবসায়ীরা জানাতে পারেননি।
তবে ভারত সরকারের ২০২৩ সালের এক হিসাব থেকে জানা যাচ্ছে, ওই বছরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দিল্লি বিমানবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক ও অন্যান্য পণ্য মিলিয়ে মাত্র পাঁচ হাজার কিলোগ্রামের মতো বাংলাদেশী পণ্য অন্য দেশে রফতানি হয়েছিল।
সূত্র : বিবিসি