চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে বাজারের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে না এলে আমদানি অনুমোদন ইস্যু করা হবে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন |ইন্টারনেট

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না কমলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আজ রোববার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কোনো সঙ্কট নেই, যথেষ্ট মজুত রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। ফলে আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক না হলে আমরা আমদানির অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত দেবো।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পেঁয়াজ আমদানির জন্য দুই হাজার আট শ’টি আবেদন পড়েছে। আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে বাজারের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে না এলে আমদানি অনুমোদন ইস্যু করা হবে।

এ সময় হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়া সম্পর্কে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, একাধিক কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। মৌসুমের শেষ, হঠাৎ করে ভারী বৃষ্টি, পেঁয়াজ সংরক্ষণের সময় শুকিয়ে যাওয়ার পরে ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ।

‘হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, আমরা বাজারের নজর রাখছি। দেশে যথেষ্ট পেঁয়াজের মজুত রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। ফলে আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক না হলে আমরা আমদানির অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি মজুতদার বা সিন্ডিকেটের কারণে হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমার কাছে মজুমদারি বা সিন্ডিকেটের খবর নেই। সাময়িক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। আশা করি দ্রুত সঙ্কট কেটে যাবে।

তিনি আরো বলেন, সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে রফতানির জন্য পেঁয়াজ মজুত করা হচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে।

পেঁয়াজ আমদানির জন্য যত আবেদন পড়েছে, তার ১০ শতাংশ যদি অনুমোদন দেয়া হয়, তাহলে বাজারে পেঁয়াজে সয়লাব হয়ে যাবে। কৃষক ক্ষতির মুখে পড়বেন। এজন্য আমরা সামগ্রিক বিবেচনায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস