সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এক লাখ মেট্রিক টন নন-বাসমতি ও আতপ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৪৪৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। একই সাথে অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ খাতের আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে।
আজ বুধবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির ৪২তম সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল (পারবয়েল্ড রাইস) ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
চালগুলো খাদ্য অধিদফতর আমদানি করবে, যার মোট ব্যয় হবে ২১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
প্রতি মেট্রিক টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫৫.৯৯ মার্কিন ডলার।
দুবাই-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এম/এস ক্রেডেন্টওয়ান এফজেডসিও দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
আরেকটি প্রস্তাবে, কমিটি মিয়ানমার থেকে সরকার-টু-সরকার (জি-টু-জি) চুক্তির আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।
এ ক্রয়ের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা, প্রতি মেট্রিক টনের দাম ৩৭৬.৫০ মার্কিন ডলার।
সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হবে মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনভিত্তিক মিয়ানমার রাইস ফেডারেশন (এমআরএফ)।
এছাড়া, কমিটি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।
প্রস্তাবটি চট্টগ্রামের মীরসরাই-২এ ও ২বি অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশ সড়ক নির্মাণ সংক্রান্ত, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
ঢাকাভিত্তিক মনিকো লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি এই কাজের ঠিকাদার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
প্রকল্পের প্যাকেজের নাম ডব্লিউডিথ্রি-বিএসএমএসএন, বিইজেডএ-যা চলমান জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ।
সভায় বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক খুলনা বিভাগের পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রকল্পের (বিশেষ সংশোধিত) অধীনে পাঁচটি নতুন ৩৩/১১ কেভি জিআইএস ধরনের সাবস্টেশন ক্রয় প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়।
সভায় সংশোধিত পদ্ধতিতে এই ক্রয় প্রক্রিয়া পুনরায় সম্পাদনের জন্য প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়া হয়।
সূত্র : বাসস