বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে শুরু করে সাম্য হত্যা, মিটফোর্ডের ঘটনায় এমন কেউ জড়িত আছে, যারা তাবেদার শক্তির এদেশীয় ধারক-বাহক। কারণ জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আধিপত্যবাদী শক্তি কখনো পছন্দ করে না। তারা জানে, জাতীয়তাবাদী শক্তি স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে ছাড় দিবে না, গণতন্ত্রের প্রশ্ন ছাড় দিবে না, জনগণের অধিকারের প্রশ্নে ছাড় দিবে না। এই কারণেই আজকে একটার পর একটা সংঘাতমূলক, সহিংস ও রক্তপাতের ঘটনা তৈরি করা হচ্ছে।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেছেন।
রিজভী বলেন, “কুমিল্লার মুরাদনগরে একজন হিন্দু মেয়ে ধর্ষিত হলেন বলা হলো, এতে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদল দায়ী। কিন্তু ধর্ষিতার স্বামী বলছেন, ‘এখানে বিএনপির কেউ জড়িত না’ এখানে ওই এলাকার যে উপদেষ্টা তার লোকজনরা জড়িত। অথচ বিএনপি নামে শুরু থেকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোবাইল চুরির দায়ে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হলো, ছাত্রদলের সাম্যকে হত্যা করা হলো। এগুলো কিসের আলামত- প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যখনই প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সাহেব লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে বৈঠক করলেন এবং বৈঠকের পর একটি বিবৃতি এলো। তারপর থেকেই বাংলাদেশ পিআর পদ্ধতিতে নিবার্চনের দাবি শুরু হলো, এটা ছাড়া আমরা নির্বাচন করব না, নির্বাচনে যাব না। এর উদ্দেশ্যটা আমরা এখন বুঝতে পারি।’
‘কোনো উসকানির মুখে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না’ নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সমস্ত অপপ্রচার ষড়যন্ত্র আমরা সামাল দিতে পারব। কারণ জনগণ তো আমাদের সাথে আছে। ওরা (অস্পষ্ট) ভয় পাচ্ছে, জনগণ যদি তাদের সাথে থাকতো, তাহলে ওরা কোনোদিনই নির্বাচন পেছানোর কথা বলত না। পিআরের কথা বলত না। একটা ধোঁয়াশা তৈরি করে পানি ঘোলা করে তারা মাছ শিকারের প্রচেষ্টায় কাজ করছে।
‘আধিপত্যবাদী শক্তি এবং আধিপত্যবাদী শক্তির দালালরা গভীর চক্রান্ত করছে’ জানিয়ে রিজভী বলেন, তাদের পাতানো ষড়যন্ত্রের জালে আমাদের নেতাকর্মী বা আমাদের পক্ষের যারা সমর্থক, পেশাজীবী সংগঠন কাউকে পা দেয়া যাবে না।‘