জনগণ ভোট দিতে মুখিয়ে আছে : মঈন খান

একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরে পেতে পারে। তাদের পছন্দমতো ৩০০ প্রতিনিধি বাছাইয়ের একমাত্র মাধ্যম নির্বাচন।

অনলাইন প্রতিবেদক
বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন মঈন খান
বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন মঈন খান |নয়া দিগন্ত

জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণার পর থেকেই ভোট নিয়ে মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তার ভাষায়, ‘বাংলাদেশের মানুষ ফেব্রুয়ারিতে ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে।’

আজ সোমবার জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ড. মঈন বলেন, ‘ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে। এতে জনগণের ভোট দেয়ার প্রত্যাশা পূরণ হবে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরে পেতে পারে। তাদের পছন্দমতো ৩০০ প্রতিনিধি বাছাইয়ের একমাত্র মাধ্যম নির্বাচন।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে সঠিক ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা সেসময় পালিয়ে গিয়েছিল। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।’

এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী সরকার কোমলমতি শিশুদের হত্যা করে ৫ আগস্ট (২০২৪ সাল) সীমান্ত টপকে কাপুরুষের মতো পালিয়ে গেছে।

গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তিকে মুক্তিযুদ্ধের দু’টি মূল লক্ষ্য উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, বিএনপি এই লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করছে। তার ভাষায়, ‘গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো ভোট। শেখ হাসিনার বন্দুকের গুলি নয়, ব্যালটের মাধ্যমেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০০৯ সালে জন্ম নেয়া তরুণরাও আগামী ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ নূর আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।