বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শিক্ষকদের যুক্তিসঙ্গত আন্দোলনকে পুঁজি করে পতিত স্বৈরাচারের সহযোগীরা পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে, সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক উত্তরণে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালালে, সেটি প্রতিহত করার ক্ষেত্রে বিএনপি কোনো নমনীয়তা প্রদর্শন করবে না।
আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সাথে নীতিগতভাবে একমত। সর্বস্তরের শিক্ষকদের জন্য আমাদের অগ্রাধিকার হলো- যুক্তিসঙ্গত আর্থিক সুবিধার নিশ্চয়তাসহ চাকরির নিরাপত্তা, শিক্ষকদের সর্বোচ্চ সামাজিক মর্যাদা ও তাদের অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি।
‘কারণ আমরা বিশ্বাস করি, রাষ্ট্র ও রাজনীতির সংস্কার কিংবা নাগরিক উন্নয়নে আমরা যত উদ্যোগই গ্রহণ করি না কেন, শিক্ষা ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং শিক্ষকদের আর্থ সামাজিক নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত করা না গেলে কখনোই কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া যাবে না।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জনগণের ভোটে বিএনপি আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে রাষ্ট্রের সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বৃদ্ধি, চাকরি স্থায়ীকরণ এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনার বিষয়ে বিএনপির কোনো দ্বিমত নেই।
তবে শিক্ষকদের যুক্তিসঙ্গত আন্দোলনকে পুঁজি করে পতিত স্বৈরাচারের সহযোগীরা পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক উত্তরণে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালালে সেটি প্রতিহত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি কোনো নমনীয়তা প্রদর্শন করবে না বলে বিবৃতিতে বলা হয়।