আব্দুর রহমান মূসা

আশুরার শিক্ষায় আত্মগঠনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণ করতে হবে

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

Location :

Dhaka City
জামায়াত ঢাকা মহানগরী উত্তরের আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা
জামায়াত ঢাকা মহানগরী উত্তরের আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা |নয়া দিগন্ত

পবিত্র আশুরার ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে ময়দানে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা।

রোববার (৬ জুলাই) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান।

আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য হেমায়েত হোসেন ও আতাউর রহমান সরকার, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য জিল্লুর রহমান ও ইউসুফ আলী মোল্লা প্রমূখ।

আব্দুর রহমান মূসা বলেন, ‘পবিত্র আশুরা ইতিহাসের নানা উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর সাক্ষী হলেও কারাবালার বিয়োগান্তক ঘটনা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। ৬৮০ খ্রীস্টাব্দের ১০ অক্টোবর মোতাবেক ৬১ হিজরীর ১০ মহররমে কারবালা প্রান্তরে বিশ্বনবী (সা:)-এর প্রাণপ্রিয় নাতী হযরত হোসাইন (রা:) তার পরিবারের সদস্য ও সাতীরা ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। যা বিশ্ব ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। মূলত, কারাবালার শিক্ষা হলো ত্যাগের শিক্ষা, অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথানত না করার শিক্ষা।’

তিনি কারবালার শহীদদের আদর্শ অনুসরণে আত্মগঠন করে দেশ ও জাতির কল্যাণে সর্বাবস্থায় সকলকে ময়দানে আপোষহীন থাকার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা দেশে এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করতে চাই, যে সমাজ বিশ্বনবী (সা:)-এর আদর্শ অনুযায়ী পরিচালিত হবে। যেখানে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগরিকের সকল সমস্যার সমাধান করবে। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রেই আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায়-বিচার নিশ্চিত হবে। আমরা তেমনি এক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মূলত, আল্লাহর আইনই নির্ভূল। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। কারণ, মানুষের তৈরি বিধান দিয়ে মানুষের কল্যাণ কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’

তিনি জুলাই বিপ্লবকে অর্থবহ করতে গণহত্যাকারীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। অন্যথায় ফ্যাসিবাদ নতুন রূপে ফিরে আসবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি