মির্জা ফখরুল

নিরাপদ জীবন দিতে না পারলে সংস্কার কাজে আসবে না

মঙ্গলবার সকালে ‘আমরা বিএনপি পরিবার ও মায়ের ডাক’ সংগঠনের গণতান্ত্রিক পদযাত্রায় শিশু কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর |নয়া দিগন্ত

সংস্কার যদি মানুষের সার্বিক উন্নয়নে না আসে, শিশুদের ভবিষ্যতকে নির্মাণ করতে সাহায্য না করে, তাদের একটা নিরাপদ জীবন দিতে না পারে, তাহলে সেই সংস্কার কোনো কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার সকালে ‘আমরা বিএনপি পরিবার ও মায়ের ডাক’ সংগঠনের গণতান্ত্রিক পদযাত্রায় শিশু কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। বনানী কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ মাঠে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে যোগ দেয় বিগত সময়ে শহীদ, গুম ও খুন হওয়ায় পরিবারের শিশুরা।

মির্জা ফখরুল বলেন, লড়াইয়ে আমাদের এই পরিবারগুলো আত্মাহুতি দিয়েছে। তারা ত্যাগ করেছে। আমরা সবাই কিন্তু তা করতে পারিনি। আজকে অনেকেই পরিবর্তনের সাথে সাথেই ভালো ভালো জায়গা দখল করে বসে গেছি। অনেকে মন্ত্রী হয়েছি। অনেকে বড় বড় কর্মকর্তা হয়েছি। অনেকে বড় বড় ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমার এই শিশুদের কথা কিন্তু ঠিক সেইভাবে সামনের দিকে এগিয়ে আনতে পারিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, পরিবর্তনের পরে একটা অন্তর্বর্তী সরকার হয়েছে। যারা কমিটেড এই গণতন্ত্রের প্রতি, শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য তারা একটা স্পেশাল সেলস তৈরি করবেন এবং তাদের পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের জন্যও। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের কথা আমরা দেখেছি, সেই ঘটনাগুলো আজও ঘটেনি।

তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্রের পরিবর্তন চাচ্ছি, কাঠামার পরিবর্তন চাচ্ছি, আমরা সংস্কার চাচ্ছি, সেই সংস্কার বা কাঠামো যদি মানুষের সার্বিক উন্নয়নে না আসে, আমাদের এই শিশুদের ভবিষ্যতকে নির্মাণ করতে সাহায্য না করে, তাদেরকে একটা নিরাপদ জীবন দিতে না পারে, তাহলে সেই সংস্কার কোন কাজে আসবে বলে আমি মনে করি না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছি, ত্যাগ স্বীকার করেছি, কিন্তু আজও অনেক শিশু তাদের বাবাকে ফিরে পায়নি। তাদের কান্না আমাদের আবেগকে নাড়া দেয়। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যেন গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার ও শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দল ক্ষমতায় এলে গুম, খুন ও শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার ও শিশুদের পুনর্বাসনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে।’

শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা হয়তো অনেকের বাবাকে ফিরিয়ে দিতে পারব না, কিন্তু তাদের জীবনযাপন উন্নত করতে পারি।’

অনুষ্ঠানের শেষে মির্জা ফখরুল আল্লাহর কাছে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও শান্তি কামনা করেন।