ইইউ চায় দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসুক : আমীর খসরু

এই মুহূর্তে ইউ’র মনোযোগ হচ্ছে নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। যেহেতু তাদের একটা বড় ইনভলভমেন্ট এই নির্বাচনে আছে, তারা চায় এই নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হোক এবং দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটা ফিরে আসুক।

অনলাইন প্রতিবেদক
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী |নয়া দিগন্ত

সফলভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশি মনোযোগী বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, নির্বাচনটা যাতে সফলভাবে হয়, এর দিকে তারা (ইইউ) বেশি মনোযোগী। এই মুহূর্তে তাদের মনোযোগ হচ্ছে নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। যেহেতু তাদের একটা বড় ইনভলভমেন্ট এই নির্বাচনে আছে, তারা চায় এই নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হোক এবং দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটা ফিরে আসুক।

আজ বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশান চেয়ারপারসন কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। বিএনপির পক্ষে বৈঠকের নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জুলাই সনদের আইনে স্বীকৃতি ছাড়া নির্বাচন নয়- জামায়াত নেতার এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে, ঐক্যমত হয়েছে, সনদ সই হয়েছে। এর পরে আর কী বাকি আছে, আমাদের তা জানা নেই। আলোচনা, ঐক্যমত, সনদ সই হওয়ার পরে আর কিছু থাকার কথা নয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে সবারই কনসার্ন থাকবে। আমাদেরও কনসার্ন আছে। আমরা আশা করছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরো শক্ত অবস্থানে থাকবে, আরো কঠিন অবস্থানে থাকবে এবং এটার সমাধানে তারা আরো সচেষ্ট থাকবে। এটা আমরা সবাই আশা করি।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনের দৌঁড়ে নেই, দেশেও নেই। আওয়ামী লীগ নেত্রীও নেই। সুতরাং এটা আলোচনার কোনো বিষয় হতে পারে না। আর এরকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যে কেউ করতে পারে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে সুরক্ষা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এগুলো সরকারের দায়িত্ব, সরকার পালন করবে। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা আছে, তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে। আমরা আশা করছি সরকার আরো বেশি সচেষ্ট থাকবে। আরো ভালোভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। তার মাধ্যমেই আমরা নির্বাচনের দিকে যাব।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে- সেটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশের মানুষ অনেক সজাগ। তারা নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। সারাদেশের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পূর্ণ উদ্যমে চলছে। উৎসাহ-উদযাপনের মধ্য দিয়ে চলছে এবং সব রাজনৈতিক দল এখন মাঠে।