জামায়াত আমিরের উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় খেলাফত মজলিস নেতা আলী হাসান উসামা

‘মাগরিবের পর থেকে দুই ঘণ্টারও অধিক সময় আমিরে জামায়াতের সাথে খেলাফত মজলিসের আমির-মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলগণের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য প্রায় ইসলামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ডা: শফিকুর রহমান ও মুফতি আলী হাসান উসামা
ডা: শফিকুর রহমান ও মুফতি আলী হাসান উসামা |সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় উলামা বিষয়ক সম্পাদক ও দেশের আলোচিত তরুণ বক্তা মুফতি আলী হাসান উসামা। তিনি বলেছেন, ‘আর কিছুকাল নেক হায়াত পেলে জামায়াতের ইতিহাসে তিনি সম্ভবত এক অনন্য কিংবদন্তি আইকনিক আমির হতে যাচ্ছেন।’

রোববার নিজের ফেসবুক একাউন্টে দেয়া এক পোস্টে জামায়াত আমিরের সাথে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মুফতি আলী হাসান উসামা একথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘মাগরিবের পর থেকে দুই ঘণ্টারও অধিক সময় আমিরে জামায়াতের সাথে খেলাফত মজলিসের আমির-মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলগণের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য প্রায় ইসলামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা। তাদের কিছু নেতা ও বক্তার সাম্প্রতিক বিতর্কিত বক্তব্যগুলোর ব্যাপারেও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

মুফতি উসামা লেখেন, ‘এশার নামাজের সময় হলে আমিরে জামায়াত আমাকে নির্দেশ দিলেন ইমামতি করতে। নৈশভোজ শেষে বিদায়ের সময় মুয়ানাকার পরে বললেন, তোমার প্রতি আমার আলাদা মহব্বত ও মনোযোগ আছে। তোমার মতো তরুণরা ময়দানে এগিয়ে এলে এবং তোমরা নেতৃত্ব দিলে পুরো দেশ ও সমাজ বদলে যাবে।’

ali hasan osama-dr. shafiqur rahman

তিনি বিগত সময়ের আরেকটি সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করে লেখেন, ‘ফেবু স্মরণ করিয়ে দিলো, আজ থেকে ঠিক এক বছর আগেও একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে তার সাথে সাক্ষাৎ হয়েছিল। তখনো আমি কোনো সংগঠন করি না। এক বছর পর ঠিক একই দিনে সাক্ষাৎ। এখন ভিন্ন সংগঠন করি বলে তার আচরণে কোনো পরিবর্তন দেখিনি। এমনিভাবে আর কিছুকাল নেক হায়াত পেলে জামায়াতের ইতিহাসে তিনি সম্ভবত এক অনন্য কিংবদন্তি আইকনিক আমির হতে যাচ্ছেন। আর যদি তার নম্রতা ও উদারতার মাধ্যমে এক ঐতিহাসিক ঐক্য সংঘটিত হয়, তাহলে তো দেশের ইতিহাসেও তিনি অমর হয়ে থাকবেন।’