উত্তরায় নারী বিষয়ক কমিশন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টর আজমপুরস্থ আমির কমপ্লেক্স চত্বরে হেফাজত উত্তরা জোনের সভাপতি আল্লামা নাজমুল হাসান কাসেমী ও সদস্য সচিব মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আযহারীর সার্বিক তত্ত্ববধানে, মুফতী গিয়াস উদ্দীন আল মাদানী ও মাওলানা আমির উদ্দীন ফয়জীর যৌথ সঞ্চালনায় এ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব, ৩ নম্বর সেক্টর গাউছুল আজম জামে মসজিদের খতীব সুলতানুল ওয়ায়েজীন খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, বৃহত্তর উত্তরার অন্যতম শীর্ষ মুরব্বি মুফতী মুহিউদ্দীন মাসুম, হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক, বাবুস সালাম মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস আনীসুর রহমান, বৃহত্তর খিলক্ষেতের হেফাজত নেতা বিশিষ্ট মুরব্বি, খিলক্ষেত মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা নুরুল ইসলাম, উত্তরা পশ্চিম থানার মুরব্বি আলেম মাওলানা কিফায়াতুল্লাহ নোমানী, মসজিদুল মাগফিরাহর সিনিয়র পেশ ইমাম, রওযাতুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মুফতি জাকের হুসাইন, ১০ নম্বর সেক্টর কেন্দ্রীয় মসজিদের খতীব মুফতি মুহিউদ্দীন, তুরাগ থানার হেফাজত নেতা মাওলানা আহমাদ শফী, উত্তরা পূর্ব থানার হেফাজত নেতা মাওলানা সফিউল্লাহ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মুফতি রাকীবুল হাসান, বিমানবন্দর থানার হেফাজত নেতা মাওলানা আবু বকর, দক্ষিণখান হেফাজত নেতা মাওলানা জাকের হুসাইন, জামিয়া মুহাম্মাদিয়া দক্ষিণখানের মুহতামিম মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মুফতি মাসুম বিল্লাহ।
বক্তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আগামী ৩ মে সোহরাওয়ার্দী ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশের জনসমুদ্র দেখার আগেই কোরআনবিরোধী নারী কমিশন বাতিল করতে হবে। বহুত্ববাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার মতো কুফুরি মতবাদ সংবিধানে রাখার সুপারিশ বাতিল করতে হবে। ৯২ ভাগ মুসলমানের এই বাংলাদেশে সংবিধানে এক আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাসকে পুনর্বহাল করতে হবে।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘ইসলামবিরোধী নারী কমিশনের কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে-তারা কোরআনকে টার্গেট করে কাজ করে যাচ্ছে। নাস্তিকতাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেশকে অস্থিতিশীল বানানোর পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। অতএব গোটা কমিশনকেই বাতিল করতে হবে। এদের মধ্যে নাস্তিক্যবাদের সাথে জড়িতদের যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে হবে। অন্যথায় আগামী দিনে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া গোটা দেশে ঈমানি আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে। এবং যেকোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে সরকারকেই এর সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করতে হবে।’
বক্তারা বৃহত্তর উত্তরার সকল ওলামা মাশায়েখ, আইম্মায়ে মাসাজিদ, মাদরাসার মুহতামিমিন ও দায়িত্বীল এবং সর্বস্তরের মুসল্লি ও তাওহিদী জনতাকে আগামী ৩ তারিখের মহাসমাবেশে যোগদান করে সমাবেশকে সর্বাত্মক সফল করার আহ্বান জানান।
হেফাজতে ইসলাম উত্তরা জোনের সভাপতি মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমীর সমাপনী বক্তব্যের পর ঐতিহাসিক এই বিক্ষোভ মিছিলটি আমির কমপ্লেক্স থেকে হাউজবিল্ডিং হয়ে জসিম উদ্দীন চত্বরে গিয়ে সভাপতির মোনাজাতের মধ্যে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব প্রতিবাদ মহাসমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন মুফতি শওকত কাসেমী, মাওলানা বুরহানুদ্দীন ফারুকিয়া উত্তরখান, মাওলানা রহমাতুল্লাহ ১৮ নম্বর সেক্টর, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাফেজ মাওলানা সুলাইমান, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা নেজাম তালুকদার, মুফতি মুহসিনুল হাসান, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা হুসাইন আহমাদ তুরাগ, মুফতি হুজাইফা, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মুফতি মুঈনুল ইসলাম, মুফতি রুহুল আমীন দারুত তাক্বওয়া মাদরাসা, মাওলনা ইবরাহীম আজাদী, মাওলানা আব্দুল্লাহ শামীম, মাওলানা হানজালা বিন জুবায়ের, মাওলানা সালাহুদ্দীন, মাওলানা হুসাইন আহমাদ খিলক্ষেত, মাওলানা রহমাতুল্লাহ বাউনিয়া, মাওলানা ফিরোজ আহমাদ পাকুরিয়া, মুফতি ওমর ফারূক পাকুরিয়া, মাওলানা তরিকুল ইসলাম মাজেদী মারকাযুল কোরআন দিয়াবাড়ী, মাওলানা মুসা, মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ ১৭ নম্বর সেক্টর প্রমুখ।
এছাড়াও বৃহত্তর উত্তরার ৭ থানার সকল মাদরাসা ও মসজিদের ওলামা মাশায়েখ ও আইম্মায়ে মাসাজিদ উপস্থিত ছিলেন।