বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, দুর্নীতি রোধ করতে পারলে একমাত্র বিএনপিই তা করতে পারে। কারণ আমরা অতীতে করেছি, ভবিষ্যতেও করতে পারব; ইনশা আল্লাহ।
২০০১-২০০৬ সালে বিএনপির জোট সরকারের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপি সরকার বিভিন্ন বাহিনী তৈরি করে দেশে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ঘটিয়েছিল। পরে স্বৈরাচার সেই বাহিনীকে রাজনৈতিক স্বার্থে অপব্যবহার করেছিল। সুতরাং দুর্নীতি-আইনশৃঙ্খলার লাগাম একমাত্র বিএনপিই টেনে ধরতে পারে।
আজ রোববার সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি বিএনপি’র ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তারেক রহমান বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নব্বইয়ের স্বৈরাচার আন্দোলনের পর বিভিন্ন সঙ্কটের সময়ে যখন বিএনপিকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তখন বিএনপি অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছে, অবস্থার উন্নতি করেছে। এই মুহূর্তে আমরা আগামী দুই মাস পরে একটি নির্বাচন প্রত্যাশা করছি। গত ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকা যে স্বৈরাচারকে জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে বিতাড়িত করেছে, সেই স্বৈরাচার দেশের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রকে কিভাবে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে- তা আমরা জীবনের পরতে পরতে অনুভব করতে পারি।
তিনি বলেন, জনগণই আমাদের সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস। তাহলে কেন আমরা জনগণের সামনে দাঁড়াব না? আমাদের লক্ষ্য, দেশ ও জনগণকে নিয়ে। জনগণ যে সিদ্ধান্ত দেবে, আমরা তা মাথা পেতে নেব। আড়াই থেকে তিন বছর আগে, যখন স্বৈরাচার শক্ত হাতে মানুষের বাক স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক অধিকারের গলা টিপে রেখেছিল, সেই রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আমরা মানুষের সামনে ‘সংস্কার প্রস্তাব’ দিয়েছিলাম; যা ৩১ দফা হিসেবে পরিচিত।
তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগস্টের পরে প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে বলে আসছি, সামনের সময় ভালো নয়। সামনে অনেক কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে পারে দেশের জনগণ এবং জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার একমাত্র উপায়- গণতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্র। জনগণের মতামত প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা সম্ভব।
তারেক রহমান বলেন, মানুষের জন্য আমরা যা করতে পারি, তা কমিট করব। যা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তা কেউ কমিট করতে পারে না।



