জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আবরার ফাহাদ আমাদের দেখিয়েছেন বাংলাদেশপন্থী, ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী ও দিল্লির আধিপত্যবাদ বিরোধী পথ। সে পথ ধরেই গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছিল আর সে পথ ধরেই এনসিপি রাজনীতি করছে।
বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে দেশব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি। পদযাত্রাটি গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ৩০ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
পদযাত্রার অষ্টম দিনে আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়া পৌঁছেছে এনসিপি’র গাড়ি বহর। দুপুর ১টায় শহীদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন এনসিপি’র নেতৃবৃন্দরা। কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন নাহিদ ইসলাম। দুপুর ২টায় কুষ্টিয়ায় পদযাত্রা শুরু করে এনসিপি। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে শুরু হয় পদযাত্রা।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা শহীদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেছি। আমাদের পাশে শহীদ আবরার ফাহাদের গর্বিত পিতা রয়েছেন।
এনসিপি’র আহ্বায়ক বলেন, আবরার ফাহাদের অপরাধ ছিল, তিনি দেশের মানুষের জন্য কথা বলেছিলেন, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। তাই ভারতীয় তাবেদার সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ বাহিনী তাকে সারারাত নির্মম নির্যাতন করে শহীদ করে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৯ সালে আবরার ফাহাদকে হত্যার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশে আমরা দিল্লির আধিপাত্যবাদ বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। সে আন্দোলন ছিল আমাদের ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ের অন্যতম মাইলফলক।
এনসিপি বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি গড়তে চায় উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে গত ১৬ বছরে যারা গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, আমরা তাদের ধারণ করি। ফ্যাসিবাদ বিরোধী শহীদরা যে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিল, যে স্বাধীন, সার্বভৌম ও মর্যাদাসম্পন্ন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল, যে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতির উত্থান তারা করতে চেয়েছিল, আমরা সেই বাংলাদেশপন্থী রাজনীতিই করতে চাই।
এসময় এসসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সম্বনয়কারী নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণ অঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ছাড়াও নুসরাত তাবাসুম, ডাক্তার তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেছিল সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।