অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন

জন-আকাঙ্ক্ষার জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি করে গণভোটের মাধ্যমে আইনি রূপ দিতে হবে

‘পিআর পদ্ধতি ব্যতিত জনগণের সরকার বা জনগণের সংসদ গঠিত হবে না। পুরোনো ব্যবস্থার নির্বাচনে আবারো ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন

Location :

Dhaka City
রাজধানীতে অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন
রাজধানীতে অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন |নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ‘জুলাই চেতনা বাস্তবায়নে জন-আকাঙক্ষার জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি করে গণভোটের মাধ্যমে কিংবা অধ্যাদেশ জারি করে জুলাই ঘোষণাপত্রের আইনি রূপ দিতে হবে। নতুবা রাষ্ট্রের সংস্কার কিংবা গণহত্যার বিচার নিশ্চিত হবে না ‘

সোমবার (১১ আগস্ট) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হাজারীবাগ উত্তর থানার বিশেষ রুকন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি উপস্থিত রুকন সদস্যদের আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত থাকতে আহ্বান জানান।

অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি ব্যতিত জনগণের সরকার বা জনগণের সংসদ গঠিত হবে না। পুরোনো ব্যবস্থার নির্বাচনে আবারো ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে। তাই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার, বিগত ১৭ বছরের প্রতিটি হত্যার বিচার, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের এবং আহত-পঙ্গুত্ববরণকারীদের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত, সকল রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের সমান সুযোগ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ এবং জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার প্রত্যাশিত বৈষম্যহীন, ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।’

হাজারীবাগ উত্তর থানা আমির মো: মাহফুজ আলমের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম সোহেলের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও ধানমন্ডি জোন পরিচালক অধ্যাপক নুর নবী মানিক এবং মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য শেখ শরীফ উদ্দিন আহমেদ। এছাড়াও সমাবেশে ধানমন্ডি জোনের থানা আমিরসহ দায়িত্বশীল নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ইসলাম বিদ্বেষীরা জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে এবং ইসলামী দলগুলোর জোটে বাধা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে নানা রকম অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করছে। এজন্য ইসলামী দলগুলোর সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সর্তক থাকতে হবে। তবে যতই অপপ্রচারও ষড়যন্ত্র করা হোক, দুনিয়াবী কোনো শক্তি প্রয়োগ করে জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না। কারণ জামায়াতে ইসলামীর প্রধান শক্তি সংগঠনের আদর্শ ও নৈতিকবান রুকন এবং কর্মীরা। যারা অন্যায় করে না, অন্যায়কে প্রশয় দেয় না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন বিলিয়ে দেয় ‘