গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে আইসিউতে তিন দিন পর্যবেক্ষণের পর সোমবার দুপুর দেড়টায় কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়, বরং উন্নত চিকিৎসা না হলে সামনে বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন তার চিকিৎসকরা।
নুরের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ হোসেন রাসেল বলেছেন, নুরের মাথা ও মুখে মারাত্মক আঘাত পাওয়ায় তা ভবিষ্যতে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি পারে। সাধারণত এসব ঘটনার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব থাকে। ট্রমাটিক সাবআরাকনয়েড হেমোরেজের মতো আঘাতের ফলে মস্তিষ্কে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়ে থাকে; নানা রকম স্নায়বিক অসুবিধা যেমন কথা বলা ও ভারসাম্য ঠিক রাখতে সমস্যা, এমনকি মনে রাখার সমস্যাও (আলঝেইমার) হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু মাথায় ফ্র্যাকচার আছে, তাতে করে ভবিষ্যতে ইনফেকশনের ঝুঁকিও উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই এসব চিকিৎসার জন্য উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও নিয়মিত ফলোআপ জরুরি।
ডা: সাজ্জাদ হোসেন রাসেল বলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে ৩০ জুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ২০১৯ সালে ডাকসু ভবনের হামলায়ও গুরুতর আহত হন। তাই তার দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়াটা জরুরি বলে মনে করছি।