তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রিজভীর নেতৃত্বে স্বাগত মিছিল

‘দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজ দেশ বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন। আগামী ২৫ ডিসেম্বর তার আগমন উপলক্ষে সারাদেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে এবং লাখ লাখ মানুষ তাকে এক নজর দেখার জন্য ঢাকায় আসছেন।’

অনলাইন প্রতিবেদক
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রিজভীর নেতৃত্বে স্বাগত মিছিল অনুষ্ঠিত
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রিজভীর নেতৃত্বে স্বাগত মিছিল অনুষ্ঠিত |নয়া দিগন্ত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ সতের বছর পর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে স্বাগত মিছিল করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। মিছিলে সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রদল নেতারাও অংশ নেন।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল)-এর বটতলা থেকে শুরু করে শাহবাগ মোড় হয়ে মৎস্য ভবনে গিয়ে শেষ হয়।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সহ-সভাপতি ডা: তৌহিদুর রহমান আউয়ালের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, বিএনপির আইটি সেলের সদস্য মাহফুজ কবির মুক্তাসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠন, চিকিৎসক, ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমানে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

মিছিল-পূর্বক এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রিজভী বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজ দেশ বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন। আগামী ২৫ ডিসেম্বর তার আগমন উপলক্ষে সারাদেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে এবং লাখ লাখ মানুষ তাকে এক নজর দেখার জন্য ঢাকায় আসছেন।

তিনি বলেন, ‘২০০৭ সালের মইনুদ্দিন–ফখরুদ্দিন সরকার ছিল শেখ হাসিনারই সমর্থিত সরকার। সেই সরকারের সময় বিনা কারণে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়, নির্মম শারীরিক নির্যাতন করা হয়। সেই নির্যাতনের পর উনাকে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার পরে শেখ হাসিনার সরকার একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে দেশে ফিরতে বাধা দেয়। ১৭ বছর ধরে তাকে তার পরিবার, দেশ ও মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। তিনি তার মায়ের সাথে দেখা করতে পারেননি, এমনকি ছোট ভাইয়ের জানাজায়ও অংশ নিতে পারেননি। এসব ঘটনার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘জিয়া পরিবার বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবার। এ পরিবারই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একজন নির্ভীক সৈনিকের মতো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন। এই পরিবারকে ধ্বংস করার জন্য আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা কোনো চক্রান্ত বাদ দেয়নি।’

তারেক রহমানের আগমন প্রসঙ্গে তিনি জানান, ২৫ ডিসেম্বর তিনি দেশে নেমে বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার পথে ৩০০ ফুট এলাকায় উপস্থিত জনসমাগমের উদ্দেশে একটি সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন। এরপর তিনি তার মাকে দেখে বাসায় ফিরবেন।

নিরাপত্তা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে তার পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছি। সরকার আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। দলীয়ভাবেও নেতাকর্মীরা তার নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করবেন, ইনশাআল্লাহ।’

তিনি নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘জনসমাগম যত বড়ই হোক, সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে হবে। রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে প্রিয় নেতাকে শুভেচ্ছা জানাবেন। কোনো বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতা করা যাবে না। তিনি তার মাকে দেখে বাসায় পৌঁছানো পর্যন্ত সবাই শৃঙ্খলার সাথে অবস্থান করবেন।’