আজ বুধবার (২১ মে) জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মরহুম শফিউল আলম প্রধানের সংগ্রামী জীবনের চিত্র প্রদর্শনী ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী বক্তব্যে জাগপা সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেন, জাগপা প্রতিষ্ঠার পর থেকে শফিউল আলম প্রধান আজীবন ভারতীয় আগ্রাসন এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তার রেখে যাওয়া আদর্শ ও নীতি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ দেরিতে হলেও একসাথে এখন ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে। তাই গর্বের সাথে বলতে হয়, আধিপত্যবাদবিরোধী অগ্নিপুরুষ মজলুম জননেতা শফিউল আলম প্রধানের আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলন সফল হয়েছে।
সমাপনী বক্তব্যে জাগপা সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেন, শফিউল আলম প্রধান আমাদের শিখিয়ে গেছেন দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কিভাবে জীবন বাজি রাখতে হয়। আগস্ট মাসের ৫ তারিখের পর ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আগ্রাসনমুক্ত বাংলাদেশ আমাদের বজায় রাখতে হবে।
১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, শফিউল আলম প্রধান ছিলেন এ দেশের জন্য কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ। ভিনদেশী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া এমন নেতা এখন আর খোঁজে পাওয়া যাবে না।
নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শফিউল আলম প্রধান ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার দেশপ্রেম ছিলো, সৎ সাহস ছিলো। যেটা এখনকার রাজনীতিতে নেই।
জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, আমার সৌভাগ্য হয়েছে শফিউল আলম প্রধানের জানাজা পড়ানোর। তার সাথে যেভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে আমরা রাজপথে ছিলাম। তার পরবর্তী প্রজন্মের সাথেও দেশের সংকটে একসাথে পথ চলবো। আমাদের মনে কষ্ট- ফ্যাসিবাদের পতন শফিউল আলম প্রধান ভাই দেখে যেতে পারেননি।
বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শফিউল আলম প্রধান মানেই রাজপথের রাজপুত্র। তার গর্জনে রাজপথ সব সময় সরগরম থাকতো। তার শূন্যতা বর্তমানে দেশের জন্য একটি বড় সংকট।
শফিউল আলম প্রধানের সংগ্রামী জীবনের চিত্র প্রদর্শনী ও স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরাফত আলী সপু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি সাইফুল হক, গণধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ হাসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, ন্যাশনাল লেবার পার্টির লায়ন মো: ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামিক ঐক্যজোটের মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল করিম, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণ দলের চেয়ারম্যান মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন, এনডিপির চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের, বাংলাদেশ কংগ্রেস মহাসচিব ইয়ারুল ইসলাম, এবি পার্টির যুগ্ম মহাসচিব এবিএম খালিদ হাসান, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, জনতার পার্টি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শওকত মাহমুদ এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদ্দাম হোসেন, আপ বাংলাদেশের প্রধান সংগঠনক নাঈম আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রমাণিক, ন্যাপ ভাসানী মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মাহদুল্লাহ আল মেহেদী প্রমুখ।