রিজভী

গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় সঙ্কট সৃষ্টি হলে ‘কালো ঘোড়ার অনুপ্রবেশ’ হতে পারে

জাতীয় নির্বাচন দ্রুত হওয়া জরুরি। প্রত্যেকেই মনে করছেন যে দেশে রাজনৈতিক সমস্যা, অর্থনৈতিক সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অনলাইন প্রতিবেদক
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী |ইন্টারনেট

গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় সঙ্কট সৃষ্টি হলে ‘কালো ঘোড়ার অনুপ্রবেশ’ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ বুধবার দুপুরে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেছেন।

রিজভী বলেন, আমি মনে করি যে যারা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা প্রত্যেকেই এমন একটি জায়গায় উপনীত হবেন, যাতে আমাদের পরবর্তী গণতন্ত্রের অভিযাত্রার পথে বিঘ্ন না ঘটে। তা না হলে কালো ঘোড়া প্রবেশ করতে পারে।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ দিনের গণতন্ত্র চর্চার দেশেও এখন কথা উঠেছে যে এই পদ্ধতিতে (পিআর) জনমতের ট্রু রিফ্লেকশনটা হয় না। এ নিয়ে সেই সব দেশে আলাপ-আলোচনা, বির্তক চলছে। আপনি জানেন যে জাপান গণতন্ত্রের দিক থেকে অতি উন্নত একটি দেশ এবং সেখানেও ৩৭ শতাংশ পিআর পদ্ধতি চালু আছে। যেখানে সারাবিশ্বেই পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা চলছে, কোথাও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত হয়নি, সেখানে হঠাৎ করে আমাদের এখানে কেন চালু করতে চাইবেন?’

রিজভী বলেন, ‘আমি এই পর্যন্ত যত জরিপ দেখেছি, বিশেষ করে গণমাধ্যমে, সেখানে অধিকাংশ মানুষ আনুপাতিক হারে ভোট পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো ধারণা নাই এবং অনেকেই কনফিউজড অবস্থায় আছেন।’

গণভোটে ও নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদে গণভোটের যে ব্যাপারটা রয়েছে দুয়েকটি দল চাচ্ছেন, তারা এটি আগে করার জন্য। এখন আগে আপনি কখন করবেন? যদি জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে হয়, কারণ ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে রোজা শুরু হবে। তাহলে নিশ্চয়ই রোজার আগে নির্বাচন করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন এবং গণভোট একসাথে করা ছাড়া তো আর অন্য কোনো গত্যন্তর নেই।’

‘এখন অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়, নির্বাচন ও গণভোটের তো একটা প্রস্তুতি আছে। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হয়, বহুবিধ কাজ থাকে, বহু কার্যক্রম থাকে। ফলে গণভোট আগে করে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করবেন কী করে? এতে সঙ্কট তৈরি করবে। বরং একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াটাই বাঞ্ছনীয় বলে মনে সবাই করছেন, এটাই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন দ্রুত হওয়া জরুরি। প্রত্যেকেই মনে করছেন যে দেশে রাজনৈতিক সমস্যা, অর্থনৈতিক সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনারা অর্থনৈতিক অবস্থা দেখছেন যে বিনিয়োগ একেবারে শূন্যর কোঠায়। কারণ নির্বাচিত সরকার নেই।’

রিজভী বলেন, নির্বাচিত সরকার থাকলে দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীরা আস্থাশীল হয়, তারা বিনিয়োগ করতে আস্থাবান হয় এবং তারা বিনিয়োগ করেন। বিনিয়োগের সাথে কর্মসংস্থানের যেমন একটা বিষয় আছে এবং অর্থনীতিকে সামগ্রিকভাবে চাঙ্গা করার একটা বিষয় আছে। সেই ক্ষেত্রে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরিত না হলে পরে সঙ্কট আরো ঘনীভূত হবে।