বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাফল্য অর্জন করে তারাই, যারা সত্যের পথে থাকে, সঠিক পথে থাকে, লড়াই করে, সংগ্রাম করে। তারাই সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
আজ রোববার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধা দল ।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ সেই দিনটি উপস্থিত, যে দিন কোনো চক্রান্তের কাছে, কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত না করে, অতীতে যেমন জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে আমরা সব চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিয়েছি; আজ আবার তেমনভাবেই জনগণের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের সময় এসেছে।
তিনি বলেন, একটি উদারপন্থী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, জনগণের স্বপ্নের বাংলাদেশ, শহীদ জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্নের বাংলাদেশ, তারেক রহমানের ৩১ দফার বাংলাদেশ- সেই বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য আজকের দিনটি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বার বার স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে, নিজের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেছে, নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়াই করেছে। আমরা জানি, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের, আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। তাদের ক্ষমা করার কোনো কারণ থাকতে পারে না। তারা আমাদের ভবিষ্যৎকে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, এই দেশে আদিকাল থেকে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই তাদের নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি নিয়ে সহাবস্থান করে আসছে। এটাই বাংলাদেশ।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বাস করি, আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন; বেগম খালেদা জিয়া, যিনি গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন লড়াই করেছেন; এবং তারেক রহমান, যিনি ৩১ দফা দিয়ে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন- সেই বাংলাদেশ নির্মাণের পক্ষে মানুষ রায় দেবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিকূল পরিস্থিতির কথা আমরা সবাই জানি। ৫ আগস্টের পর আমাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিএনপিকে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব হলো, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা, লড়াই করা, প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে, একদিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে। অন্যদিকে আমাদের জন্য আশার আলো, যিনি আমাদের সামনে পথ দেখাচ্ছেন; সেই নেতা (তারেক রহমান) আমাদের মাঝে উপস্থিত হবেন ২৫ তারিখে। আসুন, আমরা ২৫ তারিখে তাকে এমন এক সংবর্ধনা জানাই, যা বাংলাদেশে অতীতে কখনো দেখা যায়নি।