বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য একমাত্র পথ সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন। গণতন্ত্রের জন্য আর বিকল্প কোনো পথ নেই। কয়েকজন মিলে আইন করলে গণতন্ত্র হয় না।
তিনি বলেন, যতই সংস্কার করি, বুদ্ধিজীবী মিলে কৌশল আবিষ্কার করার চেষ্টা করি। কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পারব না।
আজ শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে শহীদ নাজিরউদ্দিন জেহাদের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতৃবৃন্দ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের মানুষই গণতন্ত্রকামী, স্বাধীনতাকামী। তারা বার বার লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে স্বাধীনতার জন্য। দুর্ভাগ্য হচ্ছে সেই লড়াইয়ে মানুষ বার বার হোঁচট খেয়েছে। যতবার হোঁচট খেয়েছে, ততবার উঠে দাঁড়িয়েছে এবং আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে।
হাসিনাকে শুধু ‘হাসিনা’ বললে একটু সম্মান দেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, দানব হাসিনা দেশের সমস্ত কিছুকে তছনছ করে দিয়েছে। দেশের বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, আমাদের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যবস্থা- সমস্ত জায়গায় সে তছনছ করে দিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, কিছু কিছু মানুষ বা সংগঠন জুলাই আন্দোলনকে নিজেদের আন্দোলন বলে দাবি করেন। গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করেছে।
এসনিপকে শাপলা মার্কা না দিলে ধানের শীষ বাতিল করতে হবে- দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ভাই আমরা তো তোমাদের মার্কাতে বাধা দেইনি। কোন মার্কা তোমাদের দেবে, তা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। অযথা বিএনপির ধানের শীষকে নিয়ে টানাটানি কেন? কারণ ধানের শীষ অপ্রতিরোধ্য। সারাদেশে ধানের শীষের স্লোগান উঠেছে।’
ধানের শীষকে আটকে দেয়ার চেষ্টা চলছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ধানের শীষ জিতে গেলে বাংলাদেশ নিয়ে চাক্রান্তকারীরা চলে যেতে বাধ্য হবে।