বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর। দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর লন্ডন থেকে দেশে আসতে পারেনি পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনমত গঠন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায়।
গত ৬ আগস্ট নয়া দিগন্ত অনলাইনের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তার কথা হয় রাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে।
নয়া দিগন্ত : দেশ কোন দিকে যাচ্ছে?
হুমায়ূন কবীর : ইনশা আল্লাহ ভালোর দিকেই যাচ্ছে, ৫ আগস্ট নির্বাচনের একটা অ্যাানাউন্সমেন্ট (ঘোষণা) হয়েছে । ভেরি ক্লিয়ার অ্যান্ড লাউড- ফেব্রুয়ারিতে দেশে নির্বাচন হচ্ছে' আলহামদুলিল্লাহ। এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্টপ (বন্ধ) করার জন্যই তো শেখ হাসিনা মানুষ মেরেছে। অধিকারকে হরণ করা করেছে। স্বৈরাচার হাসিনাকে বিতাড়িত হয়েছে । এবার গণতন্ত্রে ফেরার যাত্রা। জুনের ১৩ তারিখ লন্ডনের বৈঠকে কমিটমেন্টের একটা অ্যানাউন্সমেন্ট (ঘোষণা) ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন । এখন থেকে এগিয়ে যাচ্ছে ইলেকশন।
নয়া দিগন্ত : বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান সাহেব। আন্তর্জাতিক পরিসরে তার তেমন মুভমেন্ট দেখা যায় না আমরা মিডিয়াতে দেখতে পাই না, কারণ কি?
হুমায়ূন কবীর : তারেক রহমান অনেক এঙ্গেজমেন্ট করছেন, যেগুলা ফেসবুক বা মিডিয়াতে আসে না। কূটনীতিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন দেশের লিলিডাররা, মন্ত্রী সবাই উনার সাথে যোগাযোগ করছে। বৈঠক করছে। তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতি এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এটা ভেরি ক্লিয়ার সবাই। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে খুব হাই সম্ভাবনা আগামীতে উনি প্রধানমন্ত্রী হবে।

নয়া দিগন্ত অনলাইনের সাথে কথা বলছেন হুমায়ুন কবীর।
স্বাভাবিকভাবে যোগাযোগ আরো বেড়ে গেছে। আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন, এটা উনার স্টাইল। উনি মিডিয়াতে আসতে চান না। একেক পলিটিশিয়ানের একেক স্টাইল। তারেক রহমান রাজনীতি নির্ভর বাংলাদেশের মানুষের ওপর, এর জন্য অধিকাংশ টাইম উনি বাংলাদেশের মানুষকে মোবিলাইজ করতে । দেশের মানুষকে নিয়েই উনার সব পাবলিসিটি। গত ১৫ বছর ধরে কূটনীতিক মহল বলেন আর আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল বলেন, উনার প্রতি একটা এন্ট্রি আছে। এই মানুষটা ১৫ বছর থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে, গত সাত আট বছর বিএনপির মত একটা রাজনৈতিক দলের নির্বাহী দায়িত্ব পালন করছেন । ম্যাডাম (বেগম খালেদা জিয়া) হঠাৎ এরেস্ট হয়ে গেলেন । ওইভাবে দিক নির্দেশনা পাননি। এখান থেকে পিকআপ করতে হয়েছে দলকে। রেগুলার স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে কন্ট্রিবিউটিং হয়।
প্রত্যেক ইউনিটের সাথে গ্রাসরুট (তৃণমূল) থেকে শীর্ষ পর্যায়ে সকলের সাথে সম্পর্ক রেখে চলেন। এক বছরে দল থেকে একজনও বের হয়ে যায়নি। নেতৃত্ব দিয়ে উনি দলকে সামনে এগিয়ে নিচ্ছেন এবং বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলছেন । আবার বিএনপিকে একটা জনপ্রিয় গ্রহণযোগ্য পার্টি করে তুলেছেন, যার সম্ভাবনা ইলেকশনের মাধ্যমে আবার বাংলাদেশের মানুষের ক্ষমতার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার ।
নয়া দিগন্ত : বিএনপির কূটনীতিক ভূমিকা কি হবে, প্রতিবেশী ভারত, এবং চীন,পাকিস্তান বিষয়ে , শহীদ জিয়ার স্বপ্নের সার্ক বিষয়ে কোন ভূমিকা নিবেন কিনা?
হুমায়ূন কবীর : অলরেডি তো বিএনপি বলছে, বিএনপি কোনো দেশভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতি তৈরি করবে না, পথেও যাবে না। কোনো দেশনির্ভর পররাষ্ট্রনীতি সবসময় একটা উইক পররাষ্ট্রনীতি হয়। এবং আপনি ওই দেশের পালা কুকুর হওয়া ছাড়া আর কিছু হয় না, যেটা হাসিনা ভারতের ক্ষেত্রে করেছে। কোনো দেশনির্ভর পররাষ্ট্রনীতি ইজ নট সাস্টেবল। প্রশ্নই আসে না । বিএনপি ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের মধ্যে থাকতে চায়। দেশের মানুষের স্বার্থে, আকাশ বাতাস, মাটির স্বার্থকে প্রধান্য করেই এগাতে হবে।
এডজাস্টমেন্ট, রিএডজাস্টমেন্ট, এলাইনমেন্ট সবই হবে আমাদের ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের ভিত্তিতে। চুক্তির বাইরে কারো সাথে সম্পর্ক নয়। ট্রাম্পের সাথে কোনো কিছুতে এগ্রি করব, তার মানে না, আমরা পালেস্টাইনকে রেগনাইজ করবো না। তারেক রহমান ফ্লেক্সিবল, বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সবাইকে নিয়ে কাজ করবে এবং সবাই ঐক্যমত একটা প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়া। যেখানে প্রয়োজন অবশ্যই কোয়ালিটি সম্পূর্ণ লোক গুলাকে সম্পৃক্ত করবে। দলের বাইরে তো অনেক লোক আছে তাদেরকে ঢুকাবে।
নয়া দিগন্ত : সার্ক নিয়ে কোন ভূমিকা নিবেন কি?
হুমায়ূন কবীর : সার্ক রিজোনাল গুড মডেল । আমরা ওভাবে এঙ্গেজ করব, তখন আর একটা ব্যালেন্স থাকে। এবং কোনো একক দেশের যে প্রভাব বা একক দেশ মানে একগুঁয়েমি জিনিসটা স্বাভাবিকভাবে দূরে রাখা যায়। একটা কালেক্টিভ রেসপন্সিবিলিটি থাকে, মোস্ট ইম্পর্টেন্টলি সার্ক একটা কালেক্টিভ কো-অপারেশন থাকতে পারে। আপনার ইকোনমিকসের ক্ষেত্রে, সিকিউরিটির ক্ষেত্রে একটা কো-অপারেশন আরো জোরদার করা।
নয়া দিগন্ত : জাতীয় সরকার বিষয়টা কিভাবে করবে বিএনপি?
হুমায়ূন কবীর : অনেক লোকজন আছে ইলেকশন জিতবে না, হারলে কি তার সব শেষ? নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী হলে জাতীয় সরকার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। কিভাবে কাজে লাগাবে, সেটি হলো যদি কোনো মানুষের যোগ্যতা থাকে সে ইলেকশনের মাধ্যমে হেরে যায় । তার মানে তার রাজনীতিতে দেশ গড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা শেষ? কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা শুরু হতে পারে। জাতীয় সরকার চেতনা দিয়ে হয়, এখানে আপনার ধারণার মিল থাকতে হবে। নীতির মিল থাকতে হবে । দেশের জাতীয় ঐক্যতে তাদের ওনারশিপ আছে কি না।
নয়া দিগন্ত : আওয়ামী লীগের মতো কোনো শক্তিধর দেশকে বিএনপি বেছে নেবে কি?
হুমায়ূন কবীর : বেছে নেয়ার কি পরিণতি হয় দেখছেন তো । ভারতকে তো বেছে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কি শক্তি ছিল ভারতের তাকে (শেখ হাসিনাকে) ঠেকানো বা বাঁচানোর! শাড়িও তো নিয়ে যেতে পারেনি। মানে ভাগছে এমনভাবে দুইটা শাড়িও তো রুম থেকে নিয়ে যেতে পারে নাই। যেটা বলেছে, যাওয়ার ১০ মিনিট আছে, তোমাকে ধরবে এসে, শাড়িও নিয়ে যেতে পারবা না, আর ১৫ মিনিটের সময় আমাকেও শেষ করবে । ভাগো, আমাকেও বাঁচতে দাও।

তারেক রহমানের সাথে একান্তে কথা বলছেন হুমায়ুন কবীর।
নয়া দিগন্ত : তারেক রহমানের লন্ডনের জীবন নির্বাহ নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠে, বিষয়টি যদি খোলাসা করতেন?
হুমায়ূন কবীর : তারেক রহমান তো সবসময় ব্যবসার সাথেই জড়িত ছিলেন। দেশে থাকতে উনার ব্যবসা বাণিজ্য ছিল। ওটা কোনো অসুবিধা নাই । উনার ব্যবসা বাণিজ্য আছে । উনার ওয়াইফ তো বর্ণাঢ্য পরিবারে সন্তান। চলাফেরার ক্ষেত্রে যখন কেউ আসলে উনাকে কিছু দিয়ে যেতে হবে, ওই ধরনের রাজনীতিও উনি করেন না। আর মানে প্রয়োজনও নাই। ম্যাডাম (বেগম খালেদা জিয়া) তো ক্লিয়ার করছিলেন একবার, মাসে মাসে উনি টাকা পাঠাতেন। তারেক রহমান সাহেব যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হতেন , যদি হাসিনার পরিবারের মতো চোর হতেন বা কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত প্রসেসে জড়িত থাকতেন, তাহলে উনি ইংল্যান্ডের মতো দেশে এতদিন থাকতে পারতেন না। উনিকে তারা (আওয়ামী লীগ) পরিষ্কারভাবে জানে। উনি খুব সাধারণ জীবন যাপন করেন এবং যত পারেন সিম্পলভাবে চলেন। অধিক সময় ব্যয় করে খালি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, দেশকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। উনার লাইফের অধিকাংশ সময় দেশকে নিয়ে, মজবুত করার জন্য কাজ করে থাকেন।
নয়া দিগন্ত : গণতন্ত্র নিয়ে বিএনপি আন্দোলন সংগ্রামের করে, কিন্তু নয় বছর তাদের জাতীয় কাউন্সিল হচ্ছে না, এ বিষয়টা কিভাবে দেখেন?
হুমায়ূন কবীর : আগে কাউন্সিলের পরিবেশ তো ছিল না। স্পেসই তো দেয় নাই। এটা খুব ডিফিকাল্ট ছিল কন্টাক্ট করা । কিন্তু দলের ক্ষেত্রে তারেক রহমান দায়িত্বের অনেক রদবদল করেছে। যতটুকু সম্ভব হইছে কিন্তু সবসময় মানে অর্গানাইজ- রিঅর্গানাইজ উনি করছেন। আগামী ইলেকশনের পরে ইনশা আল্লাহ একটা কাউন্সিল হবে, ইনশাল্লাহ। নতুন দেখবেন তখন। আগামীর রাজনীতিতে একটা ভাবনা বা দেশের ডাইভার্সিটিটা কাউন্সিলের মাধ্যমে আসবে। তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন ইনশা আল্লাহ।
নয়া দিগন্ত : অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়া দলের অনেক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করছে বিএনপি । ব্যবস্থা নেয়ার পরেও থামছে না কেন, কি মনে করেন?
হুমায়ূন কবীর : বিএনপি দুর্নীতি করছে, এটাও ঠিক না। অনেকটা প্রপাগান্ডা। অনেক ক্ষেত্রে মানুষ তাদের জায়গা জমি বা জিনিসগুলো ছিল কেড়ে নেয়া হয়েছিল, এগুলোই উদ্ধার করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এভিডেন্স ক্লিয়ার পেলে ব্যবস্থা নেয়াও হচ্ছে। তবে বলে রাখি, তারেক রহমান সাহেব দেশে আসলে উনি কঠোর হাতে দমন করবেন ইনশা আল্লাহ । অনেকে এগুলো কাটছাঁট করে প্রচার করে।
মনে করে সমাজে এগুলা ছড়িয়ে মোটামুটি ৫০-৬০টি সিট আসলে তাহলে তো সাকসেস। ওরা এগুলাতেই ব্যস্ত সময় কাটায়। মানুষের সাথে তাদের কনফিডেন্স নাই । এটা এখানে সমস্যা না। করাপশন বা চাঁদাবাজি একটা জাতীয় সমস্যা। এই সমস্যা গত ১৫ বছরে রাষ্ট্রীয়ভাবে করা হয়েছে। সুযোগ করে দেয়া হয়েছে । এটা থেকে হঠাৎ মানুষকে বেরিয়ে আনা বা সরে আনতে কিছু আইন প্রয়োগ করতে হবে। নির্বাচিত সরকার দেশে আসতে হবে । তার বোল্ট ডিসিশন নিতে পারে। বর্তমান সরকার তো একটা সীমিত আকারের সরকার। যখন একটা পারমানেন্ট সরকার আসবে তখন ফোর্স ম্যান্ডেট, ডাইরেক্ট পুলিশ, ডাইরেক্ট বিভিন্ন এজেন্সি, দেশের আইন শৃঙ্খলা মাধ্যমে চাঁদাবাজি ডিটেক্ট (চিহ্নিত) করাও অনেক সহজ হবে।
নয়া দিগন্ত : আগামী দিনে ক্ষমতা আসলে বিএনপি কি ধরনের শাসন উপহার দিবে?
হুমায়ূন কবীর : বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতির কোয়ালিটিতে ইমপ্রুভমেন্ট চায় । তারেক রহমান সাহেব নিজেই বলছেন, ‘আগের মত বিজনেস এজ ইউজুয়াল রাজনীতি করলে পার পাবে না কেউ' আমাদেরও পরিণত আওয়ামী লীগের মত হবে।’ এগুলা থেকে বের হয়ে আসতে হবে । নতুন নতুন কোয়ালিটি থাকতে হবে রাজনীতিতে। ভালো ভালো লোকদেরকে এবং মানুষের মতামতকে প্রধান দিতে হবে। কিন্তু আপনি সিট পেয়েছেন বলে যা ইচ্ছা তা করবেন। এটা রাজনীতি না। এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সাংঘর্ষিক। দেশের ক্ষেত্রে যুব সমাজটা প্রধান পাবে, পলিটিক্যাল প্রোগ্রামে ইউথকে যদি আপনি এড্রেস না করেন তাহলে তো ফিউচার আপনি ভালো করতে পারবেন না । ইউথ স্বাভাবিকভাবে এটা প্রাধান্য পাবে।
তিনি বলেন, প্রাইমারি এডুকেশন ট্যাকেল করবে সমাজের এটা সেলফিশ নেচার অফ থিংকিং (স্বার্থপরতা)। এগুলো সামাজিক শিক্ষা দিয়ে প্রাইমারি এডুকেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ 'ওয়ান অফ টপ থ্রি' প্রায়রিটি হবে। প্রাইমারি স্কুলের মাস্টার, চাকরি কোথায় না পেলে প্রাইমারি স্কুলে ঢুকে যাও। এটি থেকে বের হতে হবে। বেস্ট পিপ স্কুল টিচার, তাদের বেতনও ভালো হবে, ট্রেনিংও ভালো হবে, টপ ক্লাস হবে। সব বেনিফিট প্যাকেজ, ক্যালিবার প্যাকেজ। যাতে এই প্রফেশনের মানুষ অ্যাটেরাকটিভ (আকর্ষণীয়) হয়। প্রাইমারিতে শিখাতে হবে দুর্নীতি এক ধরনের খারাপ আচরণ। ধরেন, সোসাইটি তিন চার বছরে না পেলেও ১০ বছরের মাথায় পাবেন এর ফল ।
নয়া দিগন্ত : বিএনপি আগামীতে প্রতিশোধের রাজনীতি করবে কি?
হুমায়ূন কবীর : বাংলাদেশের রাজনীতিতে ২৪ সালের ৫ আগস্ট সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা দেখিয়েছেন তারেক রহমান। কয়েকদিন সরকার ছিল না দেশে। আওয়ামী লীগ যেভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, মানুষ হত্যা করছে , চাইলে ধরে ধরে পিঠের চামড়া তুলে ফেলতে পারতো বিএনপির নেতাকর্মীরা। কিন্তু ওই সময় উনি (তারেক রহমান) দেশ স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে হুঁশিয়ার করেছেন, কেউ যেন সংঘাতে না যায়, ক্ষতি না করে। একটা কথা, ক্ষমতায় পাওয়ার পরও ক্ষমতা না দেখানোটাও ক্ষমতার অংশ। উনি বিরাট ক্ষমতা এক্সারসাইজ করছেন। পৃথিবীতে এমন দেশ আছে কী? দেখাইতে পারবে?
নয়া দিগন্ত : তারেক রহমান কবে দেশে আসবেন?
হুমায়ূন কবীর : উনি নির্বাচনের আগেই আসবেন। ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন হলে তফসিল ঘোষণা হবে; হয় নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরের ফার্স্ট উইক। ওই পিরিয়ড উনি আসবেন ।
নয়া দিগন্ত : তারেক রহমানের না আসার কারণ তো অবশ্যই আছে?
হুমায়ূন কবীর : উনার মতো নেতা তো কিছু সিকিউরিটি ও সেন্সিটিভিটিও আছে । উনি প্রধান টার্গেট। আন্তর্জাতিকভাবে শেখ হাসিনা বিরুদ্ধে মতামত ধরে রাখা, হি ইজ প্রিন্সিপাল লিডার বিহাইন্ড। এখানে স্বাভাবিকভাবে দেশের ভিতরে শত্রু আছে, বাইরেও আছে । বেনজির ভুট্টোর মতো ঘটনা যে ঘটবে না, এটার গ্যারান্টি তো সরকারকে দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবে এখন প্রফেসর ড. ইউনুস সাহেব বলছেন, একটা নির্বাচন শুরু হবে, দেশকে তৈরি করতে হবে নির্বাচনের জন্য। সেফটি অফ পলিটিক্যাল লিডার আসা যাওয়া যাতে বা ক্যাম্পেইন করতে পারেন। তারেক রহমান সেই ধরনের লাইফ লিড করছেন যে লাইফ তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনবে। বাংলাদেশের মানুষের বিজয় হবে। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে। বাংলাদেশের জন্য উনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন।