অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘তত্ত্বাবধায়কের আদলে’ কাজ করার দাবি বিএনপির

‘সচিবালয়ে চিহ্নিত ফ্যাসিস্টের দোসরদের সরিয়ে ফেলতে হবে। বিশেষ করে, জেলা প্রশাসনেও নিরপেক্ষ লোক দিতে হবে। পুলিশের নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ করে নতুন নিয়োগ বা পদোন্নতি দিতে হবে একদম নিরপেক্ষ অবস্থা থেকে।’

অনলাইন প্রতিবেদক
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মির্জা ফখরুল |নয়া দিগন্ত

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে’ কাজ করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সাথে যমুনায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামী বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই জাতীয় সংসদ অনুষ্ঠান অর্থবহ নিরপেক্ষ ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য এই মুহূর্ত থেকে যেটা প্রয়োজন হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন কেয়ারটেকার গভমেন্টের আদলে নিতে হবে। অর্থাৎ কেয়ারটেকার গভমেন্টের বলতে যা বুঝায়, একটা তত্ত্বাবধয়ক সরকার, সেই ভূমিকায় তাদেরকে যেতে হবে। সেজন্য প্রথমেই যে বিষয়টির প্রয়োজন হবে তা হচ্ছে সরকার, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ে চিহ্নিত ফ্যাসিস্টের দোসরদের সরিয়ে ফেলতে হবে। বিশেষ করে, জেলা প্রশাসনেও নিরপেক্ষ লোক দিতে হবে। পুলিশের নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ করে নতুন নিয়োগ বা পদোন্নতি দিতে হবে একদম নিরপেক্ষ অবস্থা থেকে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সরকার প্রধানকে আমরা আমাদের উদ্বিগ্ন বিষয়গুলো বলেছি। এবং সরকারকে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্যে সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাকে অপসারণ করার জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।