দুস্থ অসহায় ছিন্নমূল শিশু-কিশোরদের জন্য সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু’র প্রতিষ্ঠিত ‘সুরভি’র ধানমন্ডি কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা: জুবাইদা রহমান।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুর দেড়টার দিকে তিনি ‘সুরভি’র কার্যালয়ে প্রবেশ করলে তাকে শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন ডা: জুবাইদা রহমান। এরপর তিনি ‘সুরভি’র ক্লাসরুম পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে নিবিড়ভাবে কথা বলেন। তাদেরকে কবিতা আবৃত্তি, কোরআন তিলওয়াতসহ বিভিন্ন পারদর্শিতা দেখাতে অনুরোধ করেন। ছাত্রী-ছাত্রীদের তিনি উৎসাহ দেন এবং তাদের লক্ষ্য পূরণে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। নিজের মা ও ‘সুরভি’র প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু’র আঁকা ছবিগুলোও পরিদর্শন করেন ডা: জুবাইদা রহমান। একপর্যায়ে ‘সুরভি’র ওপর নির্মিত একটি ভিডিওচিত্রের প্রদর্শনী উপভোগ করেন তিনি।
এ সময় ‘সুরভি’র নির্বাহী পরিচালক মো: আবু তাহেরসহ অন্য শিক্ষক, কর্মচারী-কর্মকর্তা ও অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র-ছাত্রী, শিশু-কিশোর, শিক্ষক ও কর্মচারীদের উদ্দেশে ডা: জুবাইদা রহমান বলেন, ‘‘সুরভি’র ছাত্র-ছাত্রীরা কোরআন তিলওয়াত, তর্জমা, কবিতা আবৃত্তি, উপস্থাপনা, গান, নৃত্য ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চায় পারদর্শী। শিক্ষাদান কর্মসূচি ছাড়াও ‘সুরভি’র ব্যাপক সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড রয়েছে। যেমন- যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ‘সুরভি’র সদস্যরা দেশের দূর-দূরান্তে ছুটে যায় আত্মমানবতার সেবায়। দেশের ৪১ জেলায় টিউবওয়েল প্রতিস্থাপন কর্মসূচি, বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো, নারীদের কম্পিউটার ট্রেনিং, উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে বৃত্তিদান কর্মসূচি, মেডিক্যাল সরঞ্জাম সরবরাহ, রক্তদান কর্মসূচি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রভৃতি।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সমাজসেবক সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু’র ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা ছিন্নমূল শিশু কিশোরদের প্রতিষ্ঠান সুরভি শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছে প্রায় ৪০ লাখ শিশু-কিশোরদের। তাদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলায় ‘সুরভি’র প্রয়াস অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ‘সুরভি’ একটি বিশ্বাস এবং এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই শিশু-কিশোরদের অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোকিত জীবনে উৎসাহিত করা হয়।



