৩ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি হেফাজতে ইসলামের

মামুনুল হক অভিযোগ করেছেন যে- নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন শনিবার যেসব সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে, সেখানে ‘আপত্তিকরভাবে ধর্মীয় বিধিবিধান’ লঙ্ঘন করা হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
মাওলানা মামুনুল হক
মাওলানা মামুনুল হক |সংগৃহীত

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ইসলাম বিদ্বেষের অভিযোগ তুলে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনকে বাতিল করার দাবি তুলেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

রোববার দুপুরে ঢাকার কাকরাইলে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী কমিটির বিশেষ সভা শেষে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এ দাবি জানান।

মামুনুল হক অভিযোগ করেছেন যে- নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন শনিবার যেসব সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে, সেখানে ‘আপত্তিকরভাবে ধর্মীয় বিধিবিধান’ লঙ্ঘন করা হয়েছে।

‘গতকাল আমরা দেখেছি, নারী অধিকার সংস্কার কমিশন কর্তৃক যেই প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে এবং সেটি ঐকমত্য কমিশনে উপস্থাপন করা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা বরাবর দাখিল করা হয়েছে, সেখানে অত্যন্ত আপত্তিকরভাবে ধর্মীয় বিধিবিধান, বিশেষ করে ইসলামি উত্তরাধিকার আইন এবং ইসলামিক পারিবারিক আইনকে বাংলাদেশে নারীর প্রতি বৈষম্যের কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এই প্রস্তাবনাকে চরম ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যাত করছে,’ সংবাদ সম্মেলনে বলেন মাওলানা মামুনুল হক।

‘শুধু এই প্রস্তাবনাই বাতিল নয় বরং এই ধরনের বিতর্কিত জঘন্য ইসলামবিদ্বেষী, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে মারাত্মক আঘাতকারী সরাসরি ইসলাম বিরোধী কুরআন-সুন্নাহ'র সাথে সাংঘর্ষিক এবং ন্যাক্কারজনক কটাক্ষপূর্ণ প্রস্তাবনা দেয়ার কারণে এই কমিশনকে বাতিল করার দাবি করছি,’ বলেন মামুনুল হক।

এছাড়া সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা থেকে 'বহুত্ববাদের প্রস্তাব' বাতিল করে 'আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ও আস্থা' ফিরিয়ে আনার দাবিও করেছে হেফাজতে ইসলাম।

একইসাথে, ২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দ্রুত বিচার এবং নেতাকর্মীদের নামে হওয়া ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারও চেয়েছে হেফাজত ইসলাম।

এসব দাবি আদায়ে আগামী ৩ মে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

১২ বছর আগে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বর এলাকায় মহাসমাবেশ করে প্রথম আলোচনায় উঠে এসেছিল হেফাজতে ইসলাম।

সূত্র : বিবিসি