হেফাজতে ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জ শাখার উদ্যোগে শানে রিসালাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত

‘এ আয়োজন ইসলামি চেতনাকে শক্তিশালী করা, সমাজে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং তরুণ প্রজন্মকে সুন্নাহভিত্তিক সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদানে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখবে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক
হেফাজতে ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জ শাখার উদ্যোগে শানে রিসালাত সম্মেলন
হেফাজতে ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জ শাখার উদ্যোগে শানে রিসালাত সম্মেলন |সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শাখার উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘শানে রিসালাত সম্মেলন-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) এই শানে রিসালাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘এ আয়োজন ইসলামি চেতনাকে শক্তিশালী করা, সমাজে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং তরুণ প্রজন্মকে সুন্নাহভিত্তিক সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদানে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুফতি কাসেম আল হোসাইনী এবং সঞ্চালনা করেন মাওলানা নূর হোসেন নূরানী।

সম্মেলনে প্রধান আলোচক ছিলেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল আওয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা আব্দুল কাদের, মাওলানা আব্দুল কাইউম সুবহানী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, সহকারী মহাসচিব মুফতী আজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী বশিরুল্লাহ, সহকারী প্রচার সম্পাদক মুফতী শরিফুল্লাহ, সহকারী সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা রাশেদ বিন নূর এবং এ বি এম সিরাজুল মামুন প্রমুখ।

এছাড়া অন্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন মুফতি আসাদুল্লাহ জাকির, অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মাওলানা হাসমত আলী, মুফতী আরিফ বিল্লাহ, মুফতী আহমদ উল্লাহ উজানবী, আজিজুল হক শেখ সাদী, মুফতী শফিকুল ইসলাম, মুফতী হুজাইফা আল মাহদী, মুফতী আবু তাহের আল মাদানী, রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, মুফতী আল আমিন, মুফতি হাসিবুর ইসলাম, মুফতি আব্দুর রউফ, মাওলানা হা-মীম ইসহাক, মুফতি আবুল হাসনাত, মাওলানা রেজাউল কারীম ও মোহাম্মদ সাব্বির হুসাইন।

প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিশ্ব বাস্তবতায় জাতিসঙ্ঘ একটি ব্যর্থ সংস্থায় পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, আরাকান ও আফ্রিকায় মানবাধিকার লঙ্ঘন ঠেকাতে জাতিসঙ্ঘের ব্যর্থতা এটিকে অপ্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।’

বাংলাদেশের মতো শান্তিপূর্ণ দেশে জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় খোলার কোনো যৌক্তিকতা নেই, বরং এতে জাতীয় স্বার্থের ক্ষতি হতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সম্মেলনে বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন ২০১৩ সালের শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তাদের স্মরণে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

বক্তারা দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘এ সম্মেলন ইসলামের সঠিক দিকনির্দেশনা, সমাজের নৈতিক শুদ্ধি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা রাখবে।’

সম্মেলনের মাধ্যমে সর্বস্তরের আলেম-ওলামা, রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষ নবীজি সা:-এর শানে সম্মান, ইসলামী ঐক্য ও সামাজিক উন্নয়নের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।