বাংলাদেশে যদি বিনিয়োগের সত্যিকারের পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়, তাহলে বিনিয়োগে কোনো বাধা থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন স্থিতিশীলতা থাকলে সবকিছুই সহজ হবে। আন্তর্জাতিকভাবে দেশ গ্রহণযোগ্যতা পাবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজের সাথে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং চেয়ারপারসনের বিশেষ উপদেষ্টা শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় কূটনীতিকদের বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘কূটনীতিকরা কার বাসায় বৈঠক করবেন, সেটা নিয়ে বিএনপি চিন্তা করে না। বৈঠক করলে রাজনীতিতে কিছু আসে যায় না। গুরুত্বপূর্ণ হলো, আগামীর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ কী চায়, সেটাই বড় প্রশ্ন। বাধা-বিপত্তির রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।’
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘গণভোট, সংস্কার বা ঐক্যমত কমিশন- যাই বলা হোক না কেন, যেসব বিষয়ে ঐক্যমত হবে, তার বাইরে কোনো আলোচনা হবে না। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে।’
তিনি জানান, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিএনপি ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নেবে। বড় দল হিসেবে একাধিক প্রার্থী থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন মনোনয়ন দেবে, তখন সবাই এক হয়ে কাজ করবে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের ও জনগণের স্বার্থে সকল দেশের সাথে সুসম্পর্ক থাকবে। আমাদের নীতি হবে পারস্পরিক সম্মান, সহযোগিতা ও জনগণের কল্যাণ।’