আধুনিকতার নামে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের চক্রান্তের প্রতিবাদে করণীয় নির্ধারণে বিভিন্ন ইসলামী দলের সাথে মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ কার্যালয়ের হলরুমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন খেলাফতে আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম, খেলাফতে মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল জলিল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি রেজাউল করিম আবরার, খেলাফতে আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব সেক্রেটারি মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মুরশিদুল আলম সিদ্দিকী ও হাসান জুনায়েদ।
মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, যেকোনো মূল্যে নাচগানের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করতে সরকারকে বাধ্য করা হবে এবং সরকারের ওয়াদা অনুযায়ী প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, পশ্চিমা সংস্কৃতির আধুনিকতার নামে বেহায়াপনার সংস্কৃতি পতিত আওয়ামী লীগ চালু করে শিক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় চিন্তাচেতনা ধ্বংসের চক্রান্ত করেছে। ফ্যাসিবাদের পতনের পর প্রশাসনের ভেতরে থাকা আওয়ামী দোসররা আওয়ামী লীগের নীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা ও চরিত্র নষ্ট করতে প্রাথমিক স্তরে গানের শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গানের শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। সব ধর্মের মানুষ চায় তার সন্তান ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করে একজন আদর্শিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক। তাই ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই।
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় চিন্তাচেতনা ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নতুবা আলেম সমাজ চুপ করে বসে থাকবে না। ইসলাম বিদ্বেষী কোনো কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না। ৫ আগস্ট পরবর্তী রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারের পাশাপাশি শিক্ষা সংস্কারের জন্য জামায়াতে ইসলামী মতামত ও পরামর্শ দিয়েছিল। আধুনিক ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা চালুর জন্য জামায়াতে ইসলামীসহ দেশের সকল ইসলামী দল ও আলেম-ওলামা সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে, প্রস্তুত থাকবে। তবে সরকার যদি আগামী প্রজন্মের মেধা ও চরিত্র নষ্ট করার শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে চায় তাহলে ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের সাথে নিয়ে আলেম সমাজ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
মতবিনিময় সভায় শিক্ষা সংস্কারে করণীয় নির্ধারণে দেশের সকল ইসলামী দলকে ঐক্যবদ্ধ করে কর্মসূচি ঘোষণায় আগামী বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের মুক্তিযোদ্ধা হলরুমে এক সাংবাদিক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হয়।