বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টের রক্তঝরা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমরা সবাই বাংলাদেশপন্থী। বাংলাদেশের জনগণের বাইরের কোনো প্রভু থাকতে পারবে না। এবং কোনো পন্থী হয়ে বাংলাদেশে কোনো রাজনীতি চলবে না, এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই, বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা অভিপ্রায়ের চূড়ান্ত অভিব্যক্তি হিসেবে যেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে পারি এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যে সংস্কার এর মধ্য দিয়ে আমরা একটা শক্তিশালী বৈষম্যহীন সাম্যভিত্তিক, ন্যায়বিচারভিত্তিক, সামাজিকভিত্তিক একটি বাংলাদেশ গঠন করতে পারি। যে প্রত্যাশা শহীদের রক্তের, যে অঙ্গীকার সমস্ত রাজনৈতিক দলের এবং সমস্ত অঙ্গীকার আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনো পন্থী হয়ে বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল কাজ করুক, সেটা আমরাও আশা করি না। জনগণও আশা করে না।
আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচনের আগে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুনিশ্চিত করা এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা। বিশেষ করে পতিত ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর বিশেষ করে, নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন সংগঠন ছাত্রলীগসহ যাদের হাতে অবৈধ অস্ত্র আছে, সেগুলো উদ্ধারের বিষয়ে খুব কড়াকড়ি একটা অভিযান চালানো প্রয়োজন। আশা করি, সেটা অবশ্যই করবেন। একটা যৌথ অভিযান চালানো প্রয়োজন, শুধু একক বাহিনীর মাধ্যমে এটা হবে বলে আমার মনে হয় না। আশা করছি, খুব শিগগিরই হবে। কারণ এই অবৈধ অস্ত্র যদি মাঠে থেকে যায়, তাহলে নির্বাচনের সময় একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করতে পারে পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি। এটা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে আছেন এবং নিরাপত্তা বাহিনীতে আছেন, যারা এখন মাঠে কাজ করছেন, সবাইকে যাতে একটা সুষ্ঠু পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান যেন পরিচালনা করা হয়। এতে করে জনগণ একটা স্বস্তি আসবে। এই কাজও আমার মনে হয় চলছে। তবে আমাদের কাছে ততটা বেশি দৃশ্যমান হচ্ছে না। এটা শক্তিশালীভাবে করা দরকার। এটা আমাদের পক্ষ থেকে তো দাবি সবসময় ছিল।