বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, যদি প্রকৃত সংস্কার করতে হয়, তাহলে আগে মানসিক সংস্কার দরকার। আমরা যেটা বলছি সেটা জনগণের আস্থায় আনা দরকার। সব সংস্কার পার্লামেন্টকে বাদ দিয়ে, সংবিধান পরিবর্তন করে, এ সংস্কারও টেকে না।
শুক্রবার রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় পরিষদের শপথ গ্রহণ ও কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আপনাদের (ডাক্তার) আমার একটা অনুরোধ থাকলো, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন ধরনের দাবি আছে, যুক্তি আছে। এগুলি নিয়ে রাস্তা-ঘাটে মব, জ্যাম তৈরি করলে গণতন্ত্র আসবে না। একজন গর্ভবতী মহিলা বা মা, তার সন্তানটা যতক্ষণ পর্যন্ত ভূমিষ্ঠ না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত সে আশঙ্কায় থাকে। সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন না হবে, ফলাফল ঘোষণা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত জনগণের মধ্যে আশঙ্কা কাজ করবে। আশঙ্কা কিভাবে সরকার দূর করবে সেটা তাদের ম্যাটার, আমাদের ম্যাটার না। তবে আমাদের একটা দায়িত্ব আছে, তাদের এই আশঙ্কাটা দূর করে গণতান্ত্রিক পথে আনা।’
নির্বাচন নিয়ে সরকারের কোনো আন্তরিকতার অভাব নেই জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বর্তমান যে সরকার, আপনাদের সমস্যা কানেও শোনেন না, চোখে দেখেও দেখেন না। কারণ তাদের জনগণের প্রতি কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তারা তো কোনো প্রিপারেশন নিয়ে আসেন নাই। তার যে উপদেষ্টারা আছেন, রাত্রিবেলা চারজন মিলে চা খায় কিনা আমার সন্দেহ আছে। কেউ কাউকে চেনেনও না। একটা সরকার যে আছে, কাজে কর্মে কি দৃশ্যমান মনে হয়? না। তিন-চারজন আছে খুব নড়বড় করে। যারা একটা ষড়যন্ত্র করছে। অর্থাৎ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যারা শিরপা অর্জনকারী, আমাদের কাছে প্রশংসিত, তাদের মাধ্যমে এখন আরেকটা নতুন বৈষম্য সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চলছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের ভেতরে সরকার আছে। প্রধান উপদেষ্টা কথা বলেন একটা, ওনার পিএস বলেন আরেকটা। সে কারণে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যদি গড়ে না তুলতে পারি, তাহলে কোনো ক্ষেত্রেই জবাবদিহিতা আসবে না। সুতরাং জবাবদিহিতাটা আমাদের খুব বেশি দরকার।’