বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন হবে- আমরা স্বাগত জানিয়েছি এবং সবদিক থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু এখানে কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে। কেউ ‘পিআর’ ব্যবস্থা চাচ্ছে, কিন্তু কেন লাগবে তা ব্যাখ্যা করছে না। পিআর হলে এমনও সময় আসতে পারে যে, এ দেশে কোনো সরকার গঠনই হবে না।
কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি ভোটের হারে পার্লামেন্টের সদস্য নির্ধারিত হয় এবং কোনো দল ৪০ শতাংশ ভোট পায়, দেখা যাবে তাদের আসন হবে মাত্র ১২০টি- তাহলে তো সরকার গঠন করা সম্ভব হবে না। অথচ অতীতে ৩৫ থেকে ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়ে সরকার গঠিত হয়েছে। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন যে দল পেয়েছে, সেই দলই সরকার গঠন করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বনানীর শেরাটন হোটেলের হলরুমে ‘তারেক রহমান পলিটিক্স অ্যান্ড পলিসি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় ড. মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা, বেগম খালেদা জিয়ার ‘ভিশন ২০৩০’ এবং আমাদের দেয়া প্রথম ২৭ দফার সমন্বয়ে এই ৩১ দফাকে একত্রিত করা হয়েছে। তো সংস্কার আমরা চাই না- এ কথা বলে কেউ কেউ এখন অপপ্রচার করছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সংস্কার কারা চেয়েছে? আমরাই চেয়েছি।
পিআরের সমস্যা তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, প্রথমত, পিআর হলে সরকার গঠনে জটিলতা সৃষ্টি হবে। দ্বিতীয়ত, জনগণের প্রকৃত গণতান্ত্রিক চয়েস বা পছন্দ সেখানে প্রতিফলিত হবে না। জনগণের ভোটে কে এমপি হবে, সেটি নির্ধারণ হবে না।
তিনি বলেন, আগামীর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা মনে করি, এসব ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য হলো- নির্বাচন বিলম্বিত করা বা বাতিল করে দেয়া। কিছু দল, যারা অতীতে স্বৈরাচারের সাথে যুক্ত ছিল, তারা বিদেশে আশ্রয় নিয়েছে বা পলায়ন করেছে। তারা যে ষড়যন্ত্র করবে না, তা নয়। বাংলাদেশের ভেতরেও কিছু ব্যক্তি নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে নানা রকম সঙ্কট সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন সাবেক এই মন্ত্রী।



