মধ্যমপন্থীতাই বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা : মঈন খান

‘আমরা এখনো এমন কোনো পদ্ধতি খুঁজে বের করতে পারি নাই, যেটা ডেমোক্রেসির চেয়ে ভালো। যদিও ডেমোক্রেসি পদ্ধতির অনেক রকমের দুর্বলতা রয়েছে।’

অনলাইন প্রতিবেদক
বক্তব্য রাখছেন ড. আবদুল মঈন খান
বক্তব্য রাখছেন ড. আবদুল মঈন খান |নয়া দিগন্ত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে ডানপন্থী, বামপন্থী, মধ্যমপন্থী, চরমপন্থীসহ অনেক রকমের পন্থী আছে। বিএনপির যত সমালোচনায় করুক, কিন্তু ঘুরেফিরে সবাই একটি কথাই বলে— বিএনপি মোটামুটি মধ্যমপন্থী। এখানেই মনে করি বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা।’

শুক্রবার (৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মঈন খান বলেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সবচেয়ে বড় দুর্বলতা এই মুহূর্তে সারাবিশ্বে আমি বলব, অর্থনৈতিক ‘প্রলিফারেশন অফ মানি ইন ডেমোক্রেসি’। এটা একটা সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। কিন্তু তারপরও এতকিছু সত্ত্বেও বিলাতে একটা কথা বলা হতো, ‘ডেমোক্রেসি ব্যাড বাট আদার সিস্টেম অব ওয়র্স্ট’। আমরা এখনো এমন কোনো পদ্ধতি খুঁজে বের করতে পারি নাই, যেটা ডেমোক্রেসির চেয়ে ভালো। যদিও ডেমোক্রেসি পদ্ধতির অনেক রকমের দুর্বলতা রয়েছে।”

তিনি বলেন, “বিএনপির যত দোষ বা গুণ থাক না কেন, ঘুরে ফিরে শেষমেষ আমরা কিন্তু একটা কথা বলি, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। কিছু মানুষ ঠাট্টা করে বলতেন, ‘বিএনপি তো ভদ্রলোকের দল আসলে তারা কিছু করতে পারবে না’। তখন উত্তর দিতাম, ‘আমরা করতে চাই না, ভদ্রলোক হয়েই থাকতে চাই’।”

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে রাজনীতির আবহ সৃষ্টি হয়েছিল নতুন করে, যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সিপাহী-জনতার বিপ্লবের পরে পুনরায় এদেশকে গড়ে তোলার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন জনগণের ইচ্ছায়। একবার যেমন নিয়েছিলেন ২৬ শে মার্চ ১৯৭১ সালে।’

বাংলাদেশের রাজনীতিতে যাদু মিয়ার অবদানের কথা তুলে ধরে ড. মঈন খান বলেন, ‘সিপাহী বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে যাদু মিয়া বিভিন্ন মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতেন। অধিকাংশ মিটিংয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজেও উপস্থিত থাকতেন। সেখানে একটিমাত্র বিষয় ছিল— কিভাবে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যাওয়া যায়। আজকেও কিন্তু আমরা সে বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করে যাচ্ছি। কী গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকায় ছিলেন যাদু মিয়া। আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, বহির্বিশ্ব, তাদের কূটনৈতিক অঞ্চলের রাজনীতির ওপরে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। সেই পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ছিলেন যাদু মিয়া।’

‘তার কাছ থেকে আমেরিকা তাদের পলিটিক্সের যে শৈলী সেটা পর্যালোচনা করে যাচ্ছিল, যে বাংলাদেশের রাজনীতি কি সত্যি গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে?’

‘মশিউর রহমান জাদু মিয়া কিন্তু সেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বাংলাদেশকে উপহার দেয়ার জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে হাত মিলেছিলেন’ উল্লেখ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন মঈন খান।