জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো: নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা শুধু সরকার বা পুলিশের ওপর নির্ভর করে নিশ্চিত করা যাবে না। জনগণের শক্তি সংগঠিত করে নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর যখন সরকার ও পুলিশ ছিল না, তখন মানুষ নিজেরাই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ আবারো সে ধরনের পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্বাধীন ভূখণ্ড পেলেও গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশের জনগণ বারবার প্রতারিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশ গড়া সম্ভব হয়নি। এ দেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়নি; বরং ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ও গণবিপ্লব হয়েছিল। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ এবং ১৯৭১ থেকে ২০২৪-এই ভূখণ্ডের মানুষের সব ঐতিহাসিক সংগ্রাম একটি ধারাবাহিক লড়াইয়ের অংশ। সেই সংগ্রামের উত্তরাধিকার হিসেবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান তারা।
আগামীর নির্বাচনে গণভোটে সংস্কারের পক্ষে গণজোয়ার তৈরি হবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এনসিপির এমপি প্রার্থীরা ‘শাপলা কুঁড়ি’ প্রতীক নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে সংস্কারের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইবেন। আমরা দেশকে সংস্কারের পথে এগিয়ে নিয়ে যাব। বাংলাদেশকে কখনোই আর ৫ আগস্টের আগের সময়ে ফিরে যেতে দেবো না।’
তিনি আরো বলেন, পতিত শক্তিগুলো দেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। এ কারণে কেবল সরকারের ওপর নির্ভর না করে নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই নিশ্চিত করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন।
নাহিদ বলেন, সংস্কারের পক্ষে গণজাগরণ গড়ে তুলতে এনসিপির প্রার্থীরা জনগণের কাছে যাবেন। তিনি তরুণদের ভবিষ্যতমুখী রাজনীতির অঙ্গীকারে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
এ সময় এসসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বাসস



