রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কালবিলম্ব না করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানান। এ দেশের মানুষের মত ও বিশ্বাসের জায়গা থেকে অবশ্যই নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করার সুযোগ সৃষ্টি করুন।
আজ রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে’ আয়োজিত এক আলোচনা সভা তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক আশা–আকাঙ্ক্ষা, ভরসা নিয়ে আমরা ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। বিএনপি লড়াই করেছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে, মিথ্যা মামলা হয়েছে, নিহত হয়েছে, শহীদ হয়েছে। আজকে ছাত্র-জনতার মধ্য দিয়ে চব্বিশের জুলাই আন্দোলন হয়েছে, ৫ আগস্টে যা শেষ হয়েছে শেখ হাসিনার এই দেশ থেকে চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে।
তিনি বলেন, আজকে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসেছে আমাদের সবার সমর্থনে। তারা চেষ্টা করেছে রাজনৈতিক কাঠামোটাকে একটি জায়গায় নিয়ে আসার। কিন্তু সেটা কত দূর জনগণের আশা–আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্য রাখছে, সেটা এখনো বলার সময় আসেনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনেক বিপদ, হতাশা এবং অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়েও এখন ২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখানে কিছু গোষ্ঠী, কিছু মহল আজকে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে চায় এবং তারা বিভিন্ন রকম দাবি তুলে নিয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়। কিন্তু এই দেশের মানুষের এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হচ্ছে নির্বাচিত সরকার- যার পেছনে জনগণ থাকবে।
তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকার না থাকলে আরো খারাপ হবে। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুবই খারাপ হচ্ছে। আগামীকাল ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার বিরুদ্ধে যে রায় বের হবে- এ নিয়ে একটি অনিশ্চয়তা, একটি আতঙ্ক সারাদেশে বিরাজ করছে। এ নিয়ে কোনো কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। একটি মহল এটা নিয়ে বাংলাদেশে আবার নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য পায়তারা করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের আজকে রুখে দাঁড়াতে হবে- বাংলাদেশের মানুষের, বাংলাদেশের ছাত্রদের মধ্য দিয়ে যে সুযোগ আমরা পেয়েছি, সেই সুযোগ যেন আমরা নষ্ট না করি এবং গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে যেন আমরা আরো সহজ করে তুলি। সে লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। এবং সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে আমি আহ্বান জানাব- আসুন, এই প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকি যে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। এই প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থেকে আমরা সবাই নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই। মাওলানা ভাসানীর যে আদর্শ, সেই আদর্শকে সামনে রেখে আমরা যেন এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি।



