মেজর জলিলের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর আমাদের ধারণ করতে হবে : রাশেদ প্রধান

‘মুক্তিযুদ্ধের সকল সেক্টর কমান্ডারকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করা হয়েছে একমাত্র মেজর জলিল ব্যতীত। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করায় মুজিব সরকার মেজর জলিলকে বঞ্চিত করেছিল।’

অনলাইন প্রতিবেদক
মিরপুর বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে মেজর এম এ জলিলের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া শেষে রাশেদ প্রধান
মিরপুর বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে মেজর এম এ জলিলের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া শেষে রাশেদ প্রধান |নয়া দিগন্ত

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, মেজর এম এ জলিলের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর আমাদের ধারণ করতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদকে কবর দিতে হবে। আগামীতে কেউ হিন্দুস্তানের গোলামী করতে চাইলে তাকে রুখে দিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দী মেজর জলিল। তার অপরাধ , তিনি হিন্দুস্তানের লুটেরা সেনাবাহিনীকে বাংলার সম্পদ লুটপাটে বাধা প্রদান করেছিলেন। সদ্য স্বাধীন দেশের একজন সেক্টর কমান্ডারকে গ্রেফতার করতে তৎকালীন মুজিব সরকারকে দ্বিধা করতে হয় নাই। কারণ শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায় নাই। শেখ মুজিব দেশকে পাকিস্তানের বদলে ভারত বানিয়েছিল।’

বুধবার (১৯ নভেম্বর) মিরপুর বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে মেজর এম এ জলিলের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সকল সেক্টর কমান্ডারকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করা হয়েছে একমাত্র মেজর জলিল ব্যতীত। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করায় মুজিব সরকার মেজর জলিলকে বঞ্চিত করেছিল।’

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাগপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাংঠনিক সম্পাদক ওলিউল আনোয়ার, শ্রমিক জাগপা সভাপতি মনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মো: সাজু মিয়া প্রমুখ।