তারেক রহমান

আসন্ন নির্বাচনের সাথে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষা-সম্ভাবনা জড়িত

‘নানা অজুহাতে বাংলাদেশবিরোধী একটি চক্র নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এখনো চলছে।’

অনলাইন প্রতিবেদক
ভার্চুয়ালি যুক্ত আছেন তারেক রহমান এবং মঞ্চে উপবিষ্ট বিএনপি নেতারা
ভার্চুয়ালি যুক্ত আছেন তারেক রহমান এবং মঞ্চে উপবিষ্ট বিএনপি নেতারা |নয়া দিগন্ত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আসন্ন নির্বাচন কেবল অভিজ্ঞতা অর্জনের নির্বাচন নয়। আসন্ন নির্বাচন অতীতের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ। এবারের নির্বাচনের সাথে জড়িত আছে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনা। সর্বোপরি এবারের নির্বাচনের সাথে জড়িত আছে—দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে সুসংগঠিত রাখার প্রশ্ন।’

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান আরো বলেন, ‘নানা অজুহাতে বাংলাদেশবিরোধী একটি চক্র নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এখনো চলছে। সব রকম বাধা উপেক্ষা করে দেড় দশকের বেশি সময় পর নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। গণতান্ত্রিক পক্ষের সাহসী সন্তান ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনাটি সেই ষড়যন্ত্রের অংশ।’

ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার পেছনে কয়েকটি প্রশ্ন তুলে ধরেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করা গেলে কারা খুশি হবে? নির্বাচন ছাড়াই অন্তর্বর্তী সরকারকে বহাল রাখা গেলে কারা বেশি লাভবান হবে? জনগণের ভোটে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে কাদের লাভ? এসব প্রশ্নের উত্তরে হাদির ঘাতকেরা লুকিয়ে আছে। স্বাধীনতাকামী গণতান্ত্রিক জনগণের শত্রুরা ঘাপটি মেরে রয়েছে এসব প্রশ্নের উত্তরের মধ্যে। যারা স্বাধীনতাকামী জনগণকে ভয় দেখাতে চায় তারা ব্যর্থ হবে। ভয়ের কোনো কারণ নেই। মানুষের জয়-পরাজয়, জীবন-মৃত্যু সব আল্লাহর হাতে নির্ধারিত।’

‘প্রতিটি আন্দোলনে প্রমাণ হয়েছে জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিজয় কেউ আটকে রাখতে পারে না। আমি দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই—নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে,’ বলেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের অর্ধেকের বেশি নারী, চার কোটির বেশি তরুণ, কোটি কোটি কৃষক, কর্মক্ষম জনসংখ্যাকে কাজে লাগিয়ে দেশের বিজয়কে সুসংগঠিত করাই তার দলের লক্ষ্য।

তারেক রহমান বলেন, ‘নিজেদের দলীয় স্বার্থে পতিত ও পলাতক একটি চক্র স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃতি ঘটিয়েছিল। তারা দলীয় ইতিহাসের পরিণতি করেছিল। এই অপচেষ্টার কারণে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এখন আবার মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত একটি চক্র বিজয়ের নতুন ইতিহাস রচনার অপচেষ্টা করছে।’

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আগে যেমন দেশী-বিদেশী অপশক্তি সক্রিয় ছিল, এখনো আছে। সময়ের সাথে সাথে ষড়যন্ত্রকারীদের রূপ, রং, চেহারা হয়তো পাল্টেছে, কিন্তু চরিত্র একদম পাল্টায়নি।’