খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানালেন তারেক রহমান

আমি সন্তান হিসেবে, পরিবারের সদস্য হিসেবে যা করতে পারিনি, ওই কয়েকজন চিকিৎসক তা করেছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে, একজন সন্তানের চেয়ে তারা কোনো অংশে কম নয়।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
মা খালেদা জিয়ার সাথে তারেক রহমান
মা খালেদা জিয়ার সাথে তারেক রহমান |ইন্টারনেট

আট বছর ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা সব চিকিৎসকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেছেন, ‘অধ্যাপক ডা. এ টি এম ফরিদ উদ্দিনসহ একটি চিকিৎসক দল বিগত আট বছর ধরে আমার মায়ের অর্থাৎ সারাদেশের মানুষ যাকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হিসেবে চেনে, সেই মানুষটিকে চিকিৎসা দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার সন্তান হিসেবে এবং পরিবারের সদস্য হয়েও আমরা যারা এই সময়ে দেশনেত্রীর পাশে থাকতে পারিনি, আমরা আমাদের অন্তরের অন্তরস্থল থেকে এই চিকিৎসকদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

আজ শনিবার ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

তারেক রহমান বলেন, ‘আমি সন্তান হিসেবে, পরিবারের সদস্য হিসেবে যা করতে পারিনি ওই কয়েকজন চিকিৎসক তা করেছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে একজন সন্তানের চেয়ে তারা কোনো অংশে কম নয়। ক্ষেত্রবিশেষে সন্তানের চেয়েও বেশি দায়িত্ব পালন করেছেন। এ জন্য সামগ্রিকভাবে পুরো চিকিৎসক সমাজের কাছে আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’

তিনি রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেয়ায় ড্যাবের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বিগত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে বহু সাধারণ মানুষ, যারা কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না, কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন এবং প্রতিবাদ করতে গিয়ে এই মানুষগুলো বিভিন্নভাবে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। ড্যাবের সদস্যরা এই নির্যাতিত মানুষের চিকিৎসা করেছেন, সেবা দিয়েছেন। তাই চিকিৎসাপ্রাপ্ত সকল মানুষের পক্ষ থেকেও আপনাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী যত চিকিৎসক আছেন, সবার কাছে আমার একটি চাওয়া, সেটি হচ্ছে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে যে দাবিটি আছে তা বাস্তবায়ন করতে হলে আপনাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ কেবল আমাদের দলের সংসদ সদস্য বা নেতাদের দিয়ে এগুলো সব বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।’

নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশাকে বাস্তবায়নের জন্য সবার কন্ট্রিবিউট করা দরকার উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ গত ১৫ বছরে যারা জীবন দিয়েছে, বিভিন্নভাবে আহত হয়েছে তাদের প্রত্যাশা আমরা সকলে মিলে যদি পূরণ করতে পারি তবেই আমরা আমাদের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। এজন্য আমাদের প্রত্যেককে একটু করে হলেও কন্ট্রিবিউট করতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ এবং পরিচালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক মো: লুৎফর রহমান।

সূত্র : বাসস