বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের টাকা আত্মসাৎ করে শেখ হাসিনার আত্মীয়-স্বজন এবং আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের কমপক্ষে ২০ প্রজন্ম বিদেশে সুখে শান্তিতে থাকতে পারে, সেই ব্যবস্থা করেছে। টাকা লুট ও পাচারকারীদের যেন প্রত্যাবর্তন না হয়। মানুষ খুন করে, ছাত্র খুন করে, শিশুকে খুন করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ, এই রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। তাই তাদের সাথে কোনো আঁতাত নেই। আওয়ামী লীগকে যারা সহযোগিতা করেছে, তারা যেন খোলস খুলে নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করতে না পারে, আমাদের সেই দিকটাই দেখতে হবে।
আজ বুধবার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ কর্মসূচির আয়োজন করে বরগুনা ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি।
রিজভী বলেন, গণতন্ত্র ফেরানোর সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তার ওপর নিপীড়ন নির্যাতন, কারা নির্যাতন, একের পর এক বীভৎস নিপীড়ন নির্যাতনের মাধ্যমে পর্যদস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তার অটুট মনোবল, তার দৃঢ়তা এবং গণতন্ত্রের প্রশ্নে তার যে দীর্ঘদিনের আপসহীন নেতৃত্ব সেখান থেকে তাকে বিচলিত করতে পারেনি।
আজও বহু ধরনের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত, বহু ধরনের নীল নকশা, বহু মাস্টার প্ল্যান এখনো শেষ হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, যারা ২৮ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করল, নিজেদের দুঃশাসন টিকিয়ে রাখার জন্য আনাফ, ওয়াসিম আকরাম, আবু সাঈদ, মুগ্ধকে গুলি করে হত্যা করলো। আত্মত্যাগের এক মহান নমুনা মহান নিদর্শন তার মধ্যে দিয়েই গণতন্ত্র ফেরানোর পথে আমরা অগ্রসর হয়েছি। সুতরাং তাদের রক্ত যেন বৃথা না যায়, তাদের রক্ত কখনোই বৃথা যেতে দেয়া হবে না।
‘অন্তর্বতী সরকার যদি আজকে আরো বেশি দক্ষতা প্রদর্শন করতেন, তাহলে নিউইয়র্কে যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে ফ্যাসিবাদের দোসররা যে কর্মকাণ্ড করেছে, এটা করার সাহস হতো না।’
রিজভী বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো ফ্যাসিস্টের দোসরের শাস্তি দিতে পারেনি দুর্নীতি দমন কমিশন। স্পেসিফিকভাবে আদালত যে টাকাগুলো উদ্ধার করতে বলেছেন, সেগুলো উদ্ধার করতে পারেনি। অর্থাৎ, দুর্নীতি দমন কমিশন সক্রিয় নয়। তারা অথর্ব হিসেবে কাজ করছে। এই পরিস্থিতি তো জনগণ দেখতে চায়নি। এই পরিবেশ, এই অবস্থা তো দেখতে চায় না।
তিনি বলেন, ‘এখন জনগণকে সাথে নিয়ে আগামী নির্বাচনে কাজ করতে হবে, যাতে ফ্যাসিস্টদের প্রত্যাবর্তন না হয়।’
রিজভী বলেন, সরকার ক্ষিপ্রতার গতিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছেন না বলেই আজকে বিভিন্ন জায়গায় দোসরদের পেতাত্মারা নামার সুযোগ পাচ্ছে এবং বিদেশেও তারা বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করছে।’