‘অতীতের তিক্ততা ভুলে, পুরনো বিভাজন পেছনে ফেলে সত্যিকার অর্থে একটি অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা সেই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম, যেই বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং যা গড়ে তুলতে শুরু করেছিলেন।’
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে মাতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোট আয়োজিত ‘হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২৫’-এ তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় এ সম্মেলনে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের কাছ ধানের শীষে ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি আদায় করে মির্জা ফখরুল স্লোগান দিয়ে বলেন, ‘হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই, ধানের শীষে ভোট চাই।’ উপস্থিতি সবাই এ স্লোগান দেন।
মাতুয়া বহুজন সমাজের কাছে থেকে পাওয়া দাবি তারেক রহমানের কাছে তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ দাবিগুলো তখনই বাস্তবায়ন হবে, যখন আমাদের নেতা তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসাতে পারবেন। ধানের শীষে ভোট দিতে হবে। সেই ব্যাপারে কি আপনারা আজ কথা দিচ্ছেন? আমি আপনাদের কাছ থেকে সেই প্রতিশ্রুতি শুনতে চাই। কথা দিচ্ছেন তো, আপনারা আমার নেতাকে প্রধানমন্ত্রীত্বের পদে প্রতিষ্ঠিত করবেন? তাহলে আসুন, আমরা একসাথে স্লোগান দেই- ‘হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই, ধানের শীষে ভোট চাই’।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সেই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই, অতীতের তিক্ততা ভুলে, পুরনো বিভাজন পেছনে ফেলে সত্যিকার অর্থে একটি অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সেই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম, যেই বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং যা গড়ে তুলতে শুরু করেছিলেন।’
মাতুয়া বহুজন সমাজের পক্ষ থেকে যে দাবি এসেছে, তা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে পড়ে শোনান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দাবিগুলো হলো : অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন বাস্তবায়ন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন, ট্রাস্টের পরিবর্তে হিন্দু ফাউন্ডেশন, মনোনয়ন ও জাতীয় সংসদসহ জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ।
এছাড়াও, বিভিন্নভাবে কিছু মামলা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহারের দাবিও তুলেছেন।



