এনসিপির সংবাদ সম্মেলন

বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে আট দলের সাথে নির্বাচন করব : নাহিদ

রোববার রাতে দলের রাজধানীর বাংলামোটরস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম |সংগৃহীত

বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন আট দলীয় জোটের সাথে নির্বাচন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে দলের রাজধানীর বাংলামোটরস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য এবং বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে জামায়াতসহ সমমনা আট দলের সাথে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীকাল চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, সেটাকে ব্যাহত করার জন্য তারা চক্রান্ত করছে। এই জুলাই প্রজন্মকে নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্য তারা চক্রান্ত করছে। সেদিন ওসমান হাদির গায়ে গুলি লেগেছে, কালকে আপনার গায়ে লাগবে, পরশুদিন আমার গায়ে লাগবে। কারণ প্রথম ও প্রধান টার্গেট করা হচ্ছে এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশগ্রহণ করেছে। সারা দেশের তরুণরা, নাগরিকরা, শহীদ পরিবার, যারা আহত যোদ্ধা রয়েছে। ফলে এই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আমাদের কাছে মনে হয়েছে এই মুহূর্তে এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য, প্রতিযোগিতা পূর্ণ করার জন্য এবং যাতে আধিপত্যবাদী কোনো শক্তি আমাদের এই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অগ্রযাত্রাকে ঠেকাতে না পারে সেজন্য আমাদের বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। সেই তাগিদ থেকেই আমরা জামায়াতে ইসলামী ও তাদের যে সমমনা আট দল রয়েছে তাদের সাথে আমরা কথা বলেছি। তাদের যে নির্বাচনী সমঝোতা এনসিপি তাতে সম্মত হয়েছে। আমরা এই সমমনা আট দলের সাথে একত্রে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে আমরা প্রথম থেকে বলে এসেছি যে, আমরা আসন্ন এই নির্বাচনে এককভাবে অংশগ্রহণ করতে চাই। আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চাই। সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা চলছিল। আমরা সারাদেশ থেকে মনোনয়ন আহ্বান করেছিলাম, যারা প্রার্থী হতে চায়। পরে আরো দুটি দলের সাথে আমাদের একটি রাজনৈতিক সমঝোতা হয়েছিল। সংস্কার প্রশ্নে তখন আমরা বলেছিলাম যে আমরা তিনটি দল মিলে যে সংস্কার জোট, আমরা একত্রে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।’

তিনি আরো বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদির যে শাহাদাত বরণ এবং তাকে প্রকাশ্যে গুলি করার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেক বেশি পরিবর্তন হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড, এই শাহাদাত বরণের মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারছি, বাংলাদেশ আধিপত্যবাদী আগ্রাসনী শক্তি এখনো কার্যকর রয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যাদেরকে আমরা পরাজিত করেছিলাম, তারা নির্বাচন বানচাল করার জন্য এখনো চক্রান্ত করছে।’