ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খেলাফত মজলিস বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনে তাদের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বরিশাল প্রেস ক্লাবের হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের সিনিয়র নেতারা।
বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনে ঘোষিত খেলাফত মজলিসের দেয়াল ঘড়ি প্রতীকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন-
বরিশাল জেলা
বরিশাল-১: অধ্যাপক মো: সাইদুর রহমান শাহীন
বরিশাল-২: মো: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান
বরিশাল-৩: অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ মুয়াজ্জেম হোসাইন
বরিশাল-৪: অধ্যাপক রুহুল আমিন কামাল
বরিশাল-৫: অধ্যাপক এ. কে. এম মাহবুব আলম
বরিশাল-৬: অধ্যাপক মো: মোশাররেফ হোসেন খান
বরগুনা জেলা
বরগুনা-১: এডভোকেট মো: জাহাঙ্গীর হোসাইন
বরগুনা-২: অধ্যাপক মো: রফিকুল ইসলাম
পটুয়াখালী জেলা
পটুয়াখালী-১: অধ্যাপক মাওলানা মো: সাইদুর রহমান
পটুয়াখালী-২: মাওলানা মো: আইয়ুব বিন মুসা
পটুয়াখালী-৩: এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন
পটুয়াখালী-৪: ডা: জহির আহম্মেদ
ঝালকাঠি জেলা
ঝালকাঠি-১: মাওলানা মইনুল ইসলাম
ঝালকাঠি-২: ডা: মো: সিদ্দিকুর রহমান
ভোলা জেলা
ভোলা-১: মাওলানা শামসুল আলম
ভোলা-২: অধ্যক্ষ মাওলানা সালেহ উদ্দিন
ভোলা-৩: মাওলানা আবদুর রাজ্জাক
ভোলা-৪: ইঞ্জিনিয়ার মো: মাহফুজুর রহমান
পিরোজপুর জেলা
পিরোজপুর-১: মাওলানা আবদুল গাফ্ফার
পিরোজপুর-২: হাফেজ মো: নূরুল হক
পিরোজপুর-৩: অধ্যাপক মোতালেব হোসেন
এর আগে খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির অধ্যাপক সিরাজুল হকের স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যের শুরুতেই জুলাই বিপ্লবের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং আহত ও অসুস্থ ভাইদের সুস্থতা কামনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে নির্বাচনের আগে সংস্কার, বিচার এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সম্প্রতি প্রকাশিত জুলাই ঘোষণাপত্রের সংশোধন করতে হবে।
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ শাসনামলে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার অপচেষ্টা চালানো, ২০১৩ সালের ৫ শাপলা চত্বরে অসংখ্য নিরীহ আলেম ওলামা ও ছাত্র-জনতাকে রাতের আধারে গুলি করে হত্যা করা, ২০১৮ সালে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্যাপক দমন-নিপীড়ন চালানো, ২০২১ সালের মার্চ মাসে নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকালে সংঘটিত বিক্ষোভে ভারতীয় তাঁবেদার সরকার গুলি চালিয়ে ২১ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা ইত্যাদি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় জুলাই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়নি। অথচ এসব গুরুত্বপূর্ণ ত্যাগের কথা জুলাই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা অতীব জরুরি। আমরা অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র সংশোধনের দাবি জানাই।